নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে বোতলজাত ১৫টি কোম্পানির খাবার পানি পরীক্ষা করে পাঁচটি কোম্পানির পানি মানহীন বলে শনাক্ত করা হয়েছে। মানহীন এই পাঁচটি কোম্পানি হলো- ইয়ামি ইয়ামি, এক্যুয়া মিনারেল, সিএফবি, ওসমা এবং সিনমিন। এ বিষয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
সোমবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের পর মানহীন এই পাঁচটি কোম্পানির বিরুদ্ধে কী ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা জানাতে বিএসটিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী শাম্মী আক্তার। অন্যদিকে, বিএসটিআই’র পক্ষে প্রতিবেদন দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
পরে আইনজীবী জে আর খান রবিন বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিএসটিআই ভিস্টাল ফ্রেশ, মুক্তা, একুয়াফিনা, মাম, কিনলে, ওয়েসিস, প্রাণ, সাফা, ক্রিস্টাল, দিশা, ইয়ামি ইয়ামি, এক্যুয়া মিনারেল, সিএফবি, ওসমা এবং সিনমিন কোম্পানির পানির মান পরীক্ষা করে। এরপর এ বিষয়ে আজ বিএসটিআই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনে পনেরো কোম্পানির মধ্যে পাঁচটি কোম্পানির (ইয়ামি ইয়ামি, এক্যুয়া মিনারেল, সিএফবি, ওসমা এবং সিনমিন) পানি মানহীন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ওই সংবাদ যুক্ত করে হাইকোর্টে একই বছরের ২৭ মে আইনজীবী শাম্মী আক্তার জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
এরপর ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর বাজারে বেআইনিভাবে বোতলজাত খাবার পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পাশাপাশি আদালতের আদেশের পর বিএসটিআই কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা অ্যাটর্নি জেনারেলের মাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে ১৫ দিনের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়।




Discussion about this post