নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও স্থানীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ বিশ্বে ‘রোলমডেল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সোমবার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৯’ উদ্বোধন শেষে এ আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার না হয়, সে জন্য পুলিশ বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জঙ্গি দমনের মতো মাদক নির্মূল ও নিরাপদ সড়ক গড়ে তোলার জন্য পুলিশকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
‘আমি আশা করি, বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, জননিরাপত্তা বিধান ও জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবেন। সেবা প্রত্যাশী মানুষকে স্বল্পতম সময়ে কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদান করে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করবেন। সরকারের রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করবেন
আমাদের পুলিশ বাহিনী জাতিসংঘে বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা পুলিশ বাহিনীকে আরও আধুনিক করে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এ জন্য তাদের উন্নত ট্রেনিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে সেবা যেন আরও বৃদ্ধি পায় সে চেষ্টা করছি।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছেন। বাংলার আনাচে-কানাচে শান্তি নিরাপত্তা বজায় থাকলে আপনাদের পরিবারের শান্তি বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, কোনো নিরীহ জনগণ যেন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার না হয়। বরং নিরীহ জনগণকে নিরাপত্তা দেয়া আপনাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সেবার মাধ্যমে দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করে জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করার জন্য তিনি পুলিশ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।
এর আগে ২০১৮ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পুলিশ বাহিনীর ৩৪৭ জন সদস্য ও দুই নিহত পুলিশের পরিবারকে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল-বিপিএম, বিপিএম-সেবা, প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক-পিপিএম ও পিপিএম-সেবা পরিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে ৪০ জন বিপিএম ও ৬২ জন পিপিএম পদক গ্রহণ করেন। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১০৪ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-সেবা এবং ১৪৩ জন পিপিএম-সেবা পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে দু’জন মরণোত্তর বিপিএম পদক পাচ্ছেন। তারা হলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক পরিদর্শক জালাল উদ্দিন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কনস্টেবল শামীম মিয়া। তাদের পরিবারের সদস্যদের মেডেল পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজারবাগের প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের প্যারেড দেখেন।




Discussion about this post