ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ছোট্ট শিশু হালিমার মা খাদিজা বেগম কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারই বখাটে দেবর হেলাল মিয়া প্রতিশোধ নিতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন আপন ভাতিজি হালিমা খাতুনকে।
সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘটনার বিবরণ দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল করিম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) আবু সাঈদ, সদর মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ জানায়, দুই মাস আগে নিহতের মা খাদিজা বেগমকে কুপ্রস্তাব দেয় তারই আপন দেবর হেলাল মিয়া। এ ঘটনা পরিবারের লোকজনকে জানালে বিচার হয় হেলালের। ঘটনার পর থেকে হেলাল সুযোগ খুঁজতে থাকে প্রতিশোধ নেয়ার।
এরই জের ধরে ২ ফেব্রুয়ারি সকালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হেলাল একটি চিপসের প্যাকেট নিয়ে হালিমাকে দেয় এবং তার সঙ্গে যেতে বলে। চিপসের লোভে হালিমা তার আপন চাচা হেলালের সঙ্গে যায়। পরে হেলাল হালিমাকে কোলে করে বাড়ির পাশে ডাবলু কমিশনারের বাড়ির নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে ডাবলু কমিশনারের বাড়ি ও তার ভাইয়ের বাড়ির মাঝামাঝি স্থানে নিয়ে গিয়ে তার সহযোগী রুবেলের সহযোগিতায় হেলাল হালিমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
এর আগে শনিবার দুপুরে জেলা শহরের ভাদুঘর ভূঁইয়াপাড়া এলাকার বাড়ির পাশ থেকে হালিমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে একই এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় হালিমার আপন চাচা হেলাল মিয়া ও তার সহযোগী রুবেল মিয়াকে আটক করেছে পুলিশ।
এ/কে




Discussion about this post