রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি: ব্রাশফায়ারে সাত খুনের ঘটনা তদন্ত করতে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে পৌঁছেছে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্যরা সেখানে পরিদর্শন, স্থানীয় প্রশাসন ও আহতদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে। কমিটিকে আগামী ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা বাঘাইছড়ির ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক দীপক চক্রবর্তী। অন্য সদস্যরা হলেন- রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) মেজর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার একজন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এবং আনসার-ভিডিপির প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত সোমবার দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হয় বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। নির্বাচনে দিনভর দায়িত্ব পালন শেষে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ উপজেলার সাজেকের কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কেন্দ্র ছেড়ে গাড়িবহর নিয়ে উপজেলা সদরে ফিরছিলেন, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নিরাপত্তাকর্মীদের দল।
পথে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার কাছাকাছি বাঘাইছড়ির ৯ কিলোমিটার নামক এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বহনকারী দুটি জিপগাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিত এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ছয়জন। যাদের মধ্যে ছিলেন নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করা শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আনসার-ভিডিপি সদস্য। পরে খাগড়াছড়ি থেকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম নেয়ার পথে মারা যান গুলিবিদ্ধ শিক্ষক মো. তৈয়ব।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশের সদস্য, আনসার-ভিডিপি সদস্যসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষকসহ ১৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রিসাইডিং অফিসার শিজক কলেজের প্রভাষক আবদুল হান্নান আরবসহ অনেকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।




Discussion about this post