নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আইনজীবীদের বেনাভোলেন্ট ফান্ড (কল্যাণ তহবিল) বৃদ্ধি, মৃত্যুকালীন আর্থিক সহায়তা এবং আইন পেশাকে সরকারি পেনশনের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একটি জনস্বার্থে মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। গত ২১ জানুয়ারি আইনজীবীদের সরকারি পেনশন সুবিধার আওতায় আনার নির্দেশনা চেয়ে উক্ত জনস্বার্থে মামলাটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের বিজ্ঞ আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক। পরবর্তীতে ১২ মার্চ উক্ত বেঞ্চে ইন পার্সন শুনানি করেন বিজ্ঞ আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক। তার শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে বিজ্ঞ আদালত এই রুল জারি করেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞ আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক বিডিলনিউজ কে বলেন, আদালত সন্তুষ্ট হয়ে রুল জারি করেছেন, এটি আইনজীবীগণের জন্য অনেক বড় একটি মাইলফলক। পূর্ণাঙ্গ শুনানির সময় আমরা আরো বিশদভাবে আইনজীবীদের পেনশনের আওতায় আনা কেন প্রয়োজন, উন্নত বিশ্বের বিচার ব্যবস্থা গুলোতে আইনজীবীদের কিরকম সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে, সেগুলো উপস্থাপন করে আইনজীবীদের এই অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য আদালতের দৃষ্টিপাত করার চেষ্টা করবো।
অত্র জনস্বার্থে মামলাটি শুনানির সময় বিজ্ঞ আইনজীবী মো. মোজাম্মেল হক এর সঙ্গে এসোসিয়েট হিসেবে ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী জনাব মোহাম্মদ কামরুল হাসান, সাকিব মাবুদ, সাজেদুল ইসলাম ভূইয়া ও মো. সাহাবুদ্দীন খান লার্জ।
আবেদনে আইনজীবীদের পেনশন সুবিধার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় তহবিল বরাদ্দ দিতে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হয়। এতে বলা হয়, সরকার সংবিধানের অধীনে প্রজাতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার অঙ্গীকার করেছে। অথচ আইনজীবীদের অবসরের পরে কোনো নগদ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা নেই। এমনকি সরকারের সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি থেকেও আইনজীবীরা বঞ্চিত। অথচ রাষ্ট্রের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা গ্রাচুইটি হিসেবে এবং আজীবন প্রিমিয়াম বোনাস পাচ্ছেন। কিন্তু আইনজীবীরা সব ক্ষেত্রে অবহেলিত এবং তাদের ন্যূনতম স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না।




Discussion about this post