নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষাকেন্দ্রে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলার এজহারভুক্ত আসামি জোবায়ের আহমেদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পৌর শহরের তুলাতুলি এলাকা থেকে জোবায়েরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামাল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত জোবায়ের আহমেদ এই মামলার এজহারভুক্ত পাঁচ নম্বর আসামি। আদালতে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত অপর চারজনের রিমান্ড আজ থেকে শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত বোরকা পরা চারজনকে এখনো শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এদের মধ্যে অন্তত দুইজন নারী ও একজনের নাম শম্পা বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে। সেই শম্পা সন্দেহে এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও তার প্রকৃত নাম উম্মে সুলতানা পপি। তিনি অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার শ্যালিকার মেয়ে বলে জানা যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতর ওই ছাত্রীর (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা চালায় দুর্বৃত্তরা। শনিবার সকালে সোনাগাজী পৌর এলাকার ইসলামিয়া সিনিয়ার ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী ওই মাদ্রাসা থেকেই আলিম পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত কক্ষ থেকে ছাদে ডেকে নিয়ে কয়েকজন বোরকা পরা নারী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা। তারা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে না নেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ তথ্য ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় পুলিশকেও জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় এদিন বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ১০২ নম্বর কক্ষে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।




Discussion about this post