ডেস্ক রিপোর্ট: অবৈধভাবে কক্সবাজার থেকে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সেন্টমার্টিনের দক্ষিণবীচ এলাকা থেকে মানব পাচারকারী চক্রের ৫ সদস্যসহ ২২ জন রোহিঙ্গা নারী পুরুষকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। শুক্রবার রাতে তাদের আটক করা হয়। আটকৃতদের ১০ জন পুরুষ এবং বাকিরা নারী ও শিশু।
শনিবার দুপুরে কোস্ট গার্ড মিডিয়া বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করে। তারা জানায়, কোস্ট গার্ড বাহিনী পূর্বজোনের বিসিজি স্টেশান টেকনাফ রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, সেন্টমার্টিনের দক্ষিনবীচ এলাকা থেকে পাচারকারী কিছু লোক অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় লোক পাচার করবে।
পরে টেকনাফের স্টেশান কমান্ডার লেঃ এম ফয়জুল ইসলাম মন্ডল, ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই সময় মানবপাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য ও অবৈধভাবে মালেশিয়াগামী ১৭ জন রোহিঙ্গা নারী-পূরুষকে আটক করে। তারা জানায় আটকের পর তাদের কোস্ট গার্ড স্টেশান টেকনাফে নিয়ে আসা হয়। তাদের পাচার চক্রের ৫ সদস্যকে টেকনাফ থানায় এবং ১৭ মালেশিয়াগামী রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদেরকে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে হস্তান্তর প্রক্রিয়ধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন কোস্ট গার্ড।
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার জানান, উদ্ধার ১৭ রোহিঙ্গা নারী-পূরুষকে তাদের স্ব স্ব আশ্রয় শিবিরে পাঠানো হচ্ছে। আর পাচ পাচারকারীর বিরু্দ্ধ মানবপাচার মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
কক্সবাজার থেকে সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচার করার সময় নারী ও শিশুসহ ২৮ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতের মধ্যে ১৩ নারী, ৯ পুরুষ ও ৬ শিশু রয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে কক্সবাজার শহরতলীর শুকনাছড়ি ও দরিয়ানগর ঘাট থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এছাড়া পাচারে ব্যবহৃত একটি নৌকা জব্দ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রটি দরিয়ানগর-শুকনাছড়ি ঘাটে অর্ধ শতাধিক নারী, পুরুষ ও শিশুকে জড়ো করে। বিষয়টি বুঝতে পরে এলাকার শতাধিক মানুষ পাচারকারীদের একটি বাড়ি ঘেরাও করে। এসময় ২৮ জনকে আটকে রাখে। পরে খবর পাওয়ার পর সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে এসে তাদের উদ্ধার করে।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদউদ্দিন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একদল রোহিঙ্গাকে সমুদ্রপথ দিয়ে মালয়েশিয়া পাচার করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো কয়েকজন দালাল। স্থানীয়দের সহযোগিতার মাধ্যমে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো হওয়া ২৩ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাচারের সাথে জড়িত স্থানীয় দালালরা পালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




Discussion about this post