আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে এবার জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ বা জেমবিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলো ভারত। শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘোষনা দিয়েছে। অবৈধ কার্যকলাপ আইন (ইউএপিএ), ১৯৬৭ অনুযায়ী বেআইনি কার্যকলাপরোধী আইন ১৯৬৭ অনুসারে হিংসা ও নাশকতা ছাড়ানোর জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে জেএমবি-কে।
জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ-এর বিভিন্ন শাখা ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন ভারত’ এবং ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন হিন্দুস্থান’ দেশের তরুণ প্রজন্মকে সন্ত্রাসবাদ এবং নাশকতামূলক কাজে প্ররোচিত করছে, এবং চরমপন্থার প্রসার ঘটাচ্ছে, বলা হয়েছে ঘোষণায়।
২০১৪ সালের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ ও ২০১৮ সালে বুদ্ধ গয়ার বিস্ফোরণে জেএমবি-র যুক্ত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেও জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণায়। ফলে জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ ও তার শাখা সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন হিন্দুস্থানকে নিষিদ্ধ করা হয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, আসাম পুলিশের কাছে বর্তমানেই এমন অন্তত পাঁচটি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে যেখানে প্রধান অভিযুক্ত জেএমবি গোষ্ঠী। এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি গোষ্ঠীর পাকাপাকি ভাবে আস্তানা গাড়ার খবর ছিল ভারত সরকারের কাছে। বাংলা, ওড়িশা, আসাম বিহার এমন কী দক্ষিণ ভারতেও নিজেদের সংগঠন এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বিস্তারের পরিকল্পনা ছিল ‘জামাত-উল-মুজাহিদিন বাংলাদেশ’-এর।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় দণ্ডবিধির ইউএপিএ-র আওতায় কোন সংগঠনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তকমা দেওয়া হবে সেই সংক্রান্ত পঞ্চম তফশিলটি চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারিই সংশোধিত হয়েছে।দুই মাস আগে কাশ্মীর হামলার পর জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।




Discussion about this post