নিজস্ব প্রতিবেদক: দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ডিআইজি মিজানের ঘুষের অভিযোগে খন্দকার এনামুল বাসিরকে বরখাস্ত করা হয়নি, তথ্য পাচারের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া, কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ এলেই তাকে গ্রেফতারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে না দুদক।
আজ বুধবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রবেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এনামুল বাসিরের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দুদক। অনুসন্ধানে প্রকৃত সত্য উৎঘাটিত হবে।
ডিআইজি মিজানের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের ধীরগতি প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনুসন্ধান বস্তুনিষ্ঠ করতে গিয়ে দেরি হচ্ছে। তবে অনুসন্ধান সঠিক পথেই এগুচ্ছে।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে দুদকের পরিচালক এনামুল বাসির বলেন, ফোনালাপের বিষয়টি ডিজিটাল কারসাজি। এটা গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসেছে। সব কিছুর জন্য গণমাধ্যম দায়ী
তথ্য ফাঁস করায় দুদক পরিচালক এনামুল বরখাস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকা পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছে তথ্য ফাঁস করায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আজ সোমবার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, অনুসন্ধানের তথ্য অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে প্রকাশ করায় চাকরির শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হল। ঘুষ লেনদের অভিযোগের বিষয়ে আলাদা একটি বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। এবং ডিআইজি মিজানের দুর্নীতি তদন্তে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে এনামুল বাছিরকে বরখাস্ত করা হয়নি বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান। তবে কমিশনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও তথ্য পাচারের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।
এ ঘটনায় দুদক সম্পর্কে মানুষের আস্থা সংকট দেখা দেবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনে ৮৭৪ জন কর্মকর্তা রয়েছে। সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা দুদক পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। আর সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি ও ব্যবস্থা নিয়েছি। তাই আমি মনে করি জনগণের আস্থা সংকটের কিছু নেই।
পুলিশের বিতর্কিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান সম্পর্কে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া সমান অপরাধ। এখানে ঘুষের প্রকৃত লেনদেন হয়েছে কিনা সেটিরও তদন্ত করবে দুদক। অন্যায় করলে কেউ ছাড় পাবে না।




Discussion about this post