আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে লোকসভায় বিরোধী পক্ষের সংসদ সদস্যদের বিক্ষোভের মধ্যেই নতুন তিন তালাক বিল পেশ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর সংসদে এটিই প্রথম বিল। আগের বিলটি রাজ্যসভায় আটকে যায়। ফলে ষষ্ঠদশ লোকসভা ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শুক্রবার বাতিল হওয়া সে বিলটিই আবার নতুন করে পেশ করা হয়েছে। বিরোধীরা এ বিলকে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করেছে।
এবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেপি পরিচালিত সাবেক এনডিএ সরকার মুসলিম বিবাহবিচ্ছেদে তিন তালাক নিয়ে একটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল। কিন্তু সেটি রাজ্যসভায় বিরোধিতার কারণে পাস করানো যায়নি। এর আগে ডিসেম্বরে লোকসভায় বিলটি পাস হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, কোনো মুসলিম তার স্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে ‘তালাক’ শব্দটি উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদ দিলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড হবে।
এবারের নতুন বিলটি আগের ওই অধ্যাদেশেরই প্রতিরূপ। আর তা হচ্ছে, ‘দ্য মুসলিম উইমেন বিল’ (প্রোটেকশন অফ রাইটন অন ম্যারেজ) ২০১৯।
শুক্রবার লোকসভায় তিন তালাক বিরোধী বিল পেশ করেন আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ। লিঙ্গ সাম্যতা ও সুবিচারের জন্য এই বিলের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন এবং এ বিল সব ধর্মের ঊর্ধ্বে মহিলাদের সুবিচারের প্রশ্নের সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথা বেআইনি ঘোষণা করার পরও ভারতে দুইশর বেশি তিন তালাক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণেই তিন তালাক বিরোধী আইন আনা দরকার বলে মন্তব্য করেন প্রসাদ। তবে বিলের বিপক্ষে ভারতীয় কংগ্রেসের নেতা শশী থারুর বলেন, তিনি তিন তালাকের বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকারের উচিত একটি অভিন্ন আইন প্রণয়ন করা। তা যেন শুধু মুসলিমদের লক্ষ্য করে না হয়।
তিনি বলেন, মুসলিমরাই শুধু স্ত্রীকে পরিত্যাগ করে তা নয়, ধর্ম নির্বিশেষে স্ত্রী পরিত্যাগ করা দণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হোক। এ বিলে কোনো পদ্ধতিগত সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। কোনো স্থায়ী কমিটির কাছে বিলটি পাঠান উচিত। এটি পক্ষপাতমূলক বিল।




Discussion about this post