নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমদ ও যুবলীগের দুই নেতার হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা জামিনে মুক্ত হয়েছেন। এর আগে সোমবার যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় আমানুর রহমান খান রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফলে তার মুক্তিতে বাধা কাটে।
কোর্টের আদেশ কারাগারে পৌছলে মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সকালে সাবেক এমপি রানা টাঙ্গাইল কারাগার থেকে মুক্তি পান।
ওই মামলায় সাবেক এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। পরবর্তী সময়ে এমপি রানাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে সোমবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায়ও হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন।
২০১২ সালের ১৬ জুলাই টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন মোটরসাইকেলে করে টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে নিখোঁজ হলে পর দিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ওই ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করলে তদন্ত করে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভুক্ত করে পুলিশ। পরে এ মামলায় গ্রেফতার খন্দকার জাহিদ, শাহাদত হোসেন ও হিরন মিয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুন হত্যায় রানার নাম উঠে আসে।
গ্রেফতারকৃতরা আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে বলেন, রানার নির্দেশেই যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়া হয়। বিচারিক আদালত গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলায় রানার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করলে তার আইনজীবীরা হাইকোর্টে আসেন।




Discussion about this post