সাভার প্রতিনিধি: সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও শিক্ষকসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে ফের মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আওলাদ হোসেন (৪৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯জুলাই) রাতে আশুলিয়া থানায় মোহাম্মদ আলী বাদী হয়ে তার জমিতে কানাডিয়ান কলেজের সাইনবোর্ড ভাংচুরের অভিযোগে মামলাটি করেন।
দেয়াল ভাংচুর, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগে এর আগে ১১ জুলাই মামলা করা হয়।
সাইনবোর্ড ভাংচুর মামলার আসামিরা হলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন (৫৭) ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী বাবু, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুস সালামসহ ১৬ জন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে দেয়াল ভাংচুর ও লুটপাটের মামলায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ, রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন, পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিশির, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মর্তুজা আলী বাবু, আওলাদ হোসেনসহ ৯৬ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
ভুয়া দলিলের মাধ্যমে ভূমিদস্যু মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগীরা ভাড়াটে ক্যাডার দিয়ে কয়েক মাস আগে জমিটি জবরদখল করে নেয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলাও করা হয়। এমনকি গণস্বাস্থ্য মেডিকেল কলেজের আবাসিক নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়। মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তারা আরও বলেন, কানাডিয়ান কলেজের নামে বিরোধপূর্ণ জমিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে এবং তা ভেঙে উল্টো আসামি করে বারবার হয়রানি করছে। থানার উপ-পরিদর্শক বদরুজ্জামন বলেন, ভাংচুর করার অভিযোগে আওলাদ নামে একজনকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেন ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্তজা আলী বলেন, উল্লিখিত জমিতে সীমানাপ্রাচীরসহ গণস্বাস্থ্যের একটি একতলা ভবন ছিল। এ ছাড়া বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য মাটি কাটা হয়েছিল বলে জানান তিনি।




Discussion about this post