নিজস্ব প্রতিবেদক: সারা দেশে ডেঙ্গুর বিস্তারে উদ্বেগ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রাথমিক পর্যায়ে ব্যবস্থা নিলে আজ মহামারী আকার ধারণ করত না। ডেঙ্গু নিয়ে সাধারণ মানুষের ন্যায় আমরাও উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত।
আজ বুধবার সারা দেশের আদালত প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা চেয়ে করা এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন। রিটের শুনানি শেষে আদালত সারা দেশে কেন নিরাপত্তা জোরদার করা হবে না, এ মর্মে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন।
এসময় আদালত বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা দুই সিটি কর্পোরেশনের দুই প্রধান নির্বাহীকে তলব করেছিলাম। আমরা তাদের বলেছিলাম যে, ডেঙ্গু মহামারী আকারে ধারণ করার আগেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। কিন্তু উনারা ব্যবস্থা নিলেন না। যখন এটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ল, মহামারী আকার ধারণ করল, তখন তারা নড়েচড়ে বসলেন। একেবারে শেষ সময়ে এসে তারা তৎপর হলেন। এই যদি হয় অবস্থা, তা হলে সাধারণ মানুষ যাবে কোথায়? তাদের তো গাড়ি-বাড়ি সব ধরনের সুবিধা দেয়া হয়েছে। এগুলো তো সবই জনগণের টাকায় কেনা। আমাদের কেন এ বিষয়ে বলতে হবে? আমরা এসব নিয়ে দেশবাসীর মতো উদ্বিগ্ন।
আদালত আরো বলেন, ঝালকাঠিতে দুই বিচারককে হত্যা করা হলো। কুমিল্লায় এজলাসে ঢুকে আসামিকে খুন করা হলো। সুপ্রিমকোর্ট বারে হামলা হলো। আমরা আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।




Discussion about this post