নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রাইভেটকার, সিএনজি ও ট্যাক্সি রিকুইজিশন করতে পারবে না পুলিশ। রিকুইজিশন করতে হবে জনস্বার্থে। এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আজ বুধবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ১০৩ (ক) ধারার অধীনে পুলিশ গাড়ি রিকুইজিশনের বিধান নিয়ে ২০১০ সালে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন।
রিকুইজিশনের পর পুলিশের কোন কর্মকর্তা তার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে অসদাচারণের জন্য তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে ৯ দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। ডিএমপির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশতাক হোসেন।
গাড়ি রিকুইজিশনের বিষয়ে হাইকোর্টের ৯ দফা নির্দেশনা:
১. যে কোনো গাড়ি অবশ্যই জনস্বার্থে করতে হবে। যদি কেউ না করে সে অফিসারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
২. রিকুইজিশনকৃত গাড়ি কোনা অফিসার তার ব্যক্তিগত বা পরিবারের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। করলে অসদাচরণের জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. প্রাইভেটকার, সিএনজি, ট্যাক্সি রিকুইজিশন করা যাবে না।
৪. রিকুইজিশনকৃত গাড়ির ব্যাপারে প্রত্যেক পুলিশ স্টেশনে তালিকা সংরক্ষণ করতে হবে।
৫. রিকুইজিশনির ব্যাপারে যে কোনো অভিযোগ পুলিশ কমিশনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
৬. রিকুইজিশনকৃত গাড়ির কোনো ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গাড়ির পেট্রল খরচ বহন করতে হবে। চালকদের খাবার খরচ দিতে হবে।
৭. ছয় মাসের মধ্যে একই গাড়ি দ্বিতীয়বার রিকুইজিশন করা যাবে না।
৮. নারী, শিশু, রোগী থাকলে সে গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে না।
৯. পুলিশ কমিশনার একটি সার্কুলার ইস্যু করে সব পুলিশ অফিসারদের কাছে প্রেরণ করবে এবং নির্দেশনা নিশ্চিত করতে হবে।




Discussion about this post