নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীর বেশিরভাগ গরু স্টেরয়েডমুক্ত ও আর্টিফিশিয়াল খাবারে মোটাতাজা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানকাকালে গরুর গায়ে স্টেরয়েড ইনজেকশন দেয়ার সময় এক বেপারিকে হাতেনাতে ধরেছি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে বিনাশ্রমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) গাবতলী পশুর হাটে র্যাব-৪ ও প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের সহযোগিতায় পশুর হাটে অভিযানের পর এসব জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের পরিচালক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
সারওয়ার আলম বলেন, আজ দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমরা গাবতলী পশুর হাটে পশু স্টেরয়েডযুক্ত কি না জানতে অভিযান পরিচালনা করেছি। দেখেছি এই হাটের অধিকাংশ পশু স্টেরয়েডমুক্ত ও আর্টিফিশিয়াল কিছু ব্যবহার করে গরু মোটাতাজা করা হয়নি। তবে কোথাও কোথাও গরুতে আমরা সমস্যা পেয়েছি, সেই অনুযায়ী তাদের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, কেউ যেন কোনো স্টেরয়েড বা আর্টিফিশিয়াল কিছু ব্যবহার করে কোনো গরুকে ফোলাতে না পারে সেজন্য অভিযান পরিচালনা করছি। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এছাড়া কুরবানির পবিত্র প্রাণীকে যেন কেউ অপবিত্র না করতে পারে। একই সঙ্গে গরু বেচতে এসে এমন শাস্তির কবলে পড়বেন না। আমরা চাই সবাই পবিত্র পশু নিয়ে আসবে এবং পবিত্রভাবেই বিক্রি করে বাড়ি ফিরে যাবেন।
কুরবানির পশুর হাট চলাকালীন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান। ঢাকা জেলার পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক তালুকদার বলেন, পশুকে এই ইনজেকশন দিলে পশুর মাংসে পানি জমে। যেহেতু প্রাণীর শরীরে পানি কিডনি দিয়ে ফিল্টার হয়ে শরীরে যায়। যেহেতু এই ইনজেকশনের ফলে কিডনি ড্যামেজ হয়ে যায়, হার্ড ঠিকমতো কাজ করে না, লিভার কাজ করে না।
ফলে গরু হাপাতে থাকে। আর এভাবে এক সময় গরুটি মারা যায়। আর এ ধরনের পশু কিনে কুরবানি দেওয়ার পরে আমরা যখন খাবো তখন আমাদের শরীরেও একই ধরনের প্রতিক্রিয়া হবে। আমাদের শরীরেও কিডনি ড্যামেজসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। সেজন্য ভোক্তা, বিক্রেতা সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।




Discussion about this post