নিজস্ব প্রতিবেদক: বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান তার অবৈধ সম্পদ কারাগারে থাকা তার ভাগ্নে এসআই মাহমুদুল হাসানের কাছে গচ্ছিত রেখেছেন। ডিআইজি মিজান ও তার ভাগ্নের আয়কর নথি থেকে এমন তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৪-এর করদাতা মাহমুদুল হাসানের আয়কর নথি এখন দুদকের হাতে। নথি খতিয়ে দেখার পর দুদকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ডিআইজি মিজান তার সম্পদের একটি অংশ ভাগ্নের কাছে গচ্ছিত রেখেছেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান করলে ডিআইজি মিজানের আরও অবৈধ সম্পদ পাওয়া যাবে বলে তাদের ধারণা।
প্রসঙ্গত, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে গত ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) কমিশনের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে ডিআইজি মিজান ছাড়াও তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানকে আসামি করা হয়। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মাহমুদুল হাসান ২০১৭ সালের ২৬ আগস্ট পুলিশের উপ-পরিদর্শক হিসেবে যোগ দেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামি মিজানুর রহমান তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২৪ লাখ ২১ হাজার ২২৫ টাকায় গুলশান-১ এর পুলিশ প্লাজা কনকর্ডে ২১১ বর্গফুট আয়তনের একটি দোকান বরাদ্দ গ্রহণ করেন। মিজানুর রহমান নিজে নমিনি হয়ে তার ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের নামে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর একটি ব্যাংকে এফডিআর একাউন্ট করে ৩০ লাখ টাকা জমা করেন। তবে দুদকের অনুসন্ধান চালু হওয়ার পর সে টাকা ভাঙিয়ে সুদে-আসলে ৩৮ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭ টাকা তুলে ফেলেন।




Discussion about this post