নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী মতিঝিলের চার ক্লাবে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ক্লাবগুলো হলো- আরামবাগ, দিলকুশা, মোহামেডান ও ভিক্টোরিয়া।
আজ রবিবার বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে অভিযান শুরু করেছে তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিলো।
ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এসব ক্লাবের নিয়ন্ত্রক ছিলেন বলে জানা গেছে।
মতিঝিলের ডিসি আনোয়ার হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন ক্লাবে অভিযানের পর বিভিন্ন ক্লাব থেকে জিনিসপত্র এ ক্লাবে এনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এখানে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগও রয়েছে।
এর আগে রাজধানীর কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
গত বুধবার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদের ইয়াংমেনস ক্লাবে অভিযানের মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযান শুরু হয়। ওই দিন আরও কয়েকটি ক্লাবে অভিযান চালায় র্যাব। ওই সব ক্লাব থেকে মদ, নারী, মাদকসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এদিন রাতে অবৈধ অস্ত্র, মাদক ও ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্রসহ আটক করে র্যাব।
খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র্যাব। এছাড়া তার কাছ থেকে মোট ৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্সের শর্তভঙ্গ করে রাখা হয়েছিল।
পরে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চার মামলায় যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ৭ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত।
এরপর শুক্রবার বিকালে থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে ক্লাবের অফিস রুম থেকে এক হাজার পিস হলুদ রঙের ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব। এছাড়া একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
পরে শনিবার কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষকলীগ নেতা সফিকুল ইসলাম ফিরোজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুইটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।




Discussion about this post