ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় শ্রমিক লীগ অফিসে বসা মিনি ক্যাসিনো থেকে টাকা ও জুয়ার সরঞ্জামসহ ১৬ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ বেশ কিছু টোকেন জব্দ করা হয়।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে আখাউড়া রেলওয়ে শ্রমিক লীগের অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এবং আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকালে গ্রেফতার ১৬ জনকে আদালতের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই আখাউড়া রেলওয়ে শ্রমিক লীগ অফিসে জমতো মিনি ক্যাসিনোখ্যাত এ জুয়ার আসর। শ্রমিক লীগ সাইনবোর্ডের তকমার আড়ালে এটি পরিণত হয়েছিল জুয়ার আখড়ায়।
আখাউড়া থানার ওসি মো. রসুল আহমেদ নিজামী জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে একদল পুলিশ রাতে আখাউড়া রেলওয়ে শ্রমিক লীগের অফিসে অভিযান চালায়। এ সময় ১৬ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করা হয়। জুয়ার আসর থেকে ২৪ হাজার ৪১০ টাকা, জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি, টোকেনসহ তাদের ব্যবহৃত ১৫টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও ওসি জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার রহিজ উদ্দিন (৪০), ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়ার মো. শাহ আলম (৫০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণপুর গ্রামের আবদুর রহমান (৪০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কোড্ডার মো. হুমায়ুন কবির (৪৫), বাবুল ভূঁইয়া (৫০), জাহাঙ্গীর খলিফা (৫০), আইয়ুব মিয়া (৫৫), সুশেন খলিফা (৫০), চান্দি গ্রামের শফিকুল ইসলাম (৫৫), শ্যামনগরের নির্মল দাস (৩২), সজীব দাস (৩০), খলিলুর রহমান (৫০), আখাউড়া পৌরশহরের দেবগ্রামের শেখ কাজল (৩৫, রেলওয়ে কুমারপাড়া কলোনির কাউছার আলী (৫০), অরুণ চন্দ্র দাস (৪২) ও রেলওয়ে কলোনির নজরুল ইসলাম (৫৭)।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের (রেলওয়ে ক্লাব) লাল হোসেন ইনস্টিটিউট ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কার্যালয়ে নিয়মিতই জুয়ার আসর বসে। জুয়া খেলতে এলাকার পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে জুয়াড়িরা আসতেন। প্রধানমন্ত্রীর কঠোর অবস্থান ও সারা দেশে অভিযানের কারণে রেলওয়ে ক্লাবটিতে সম্প্রতি জুয়া বন্ধ করে দেয় পুলিশ। কিন্তু দলীয় তকমা লাগিয়ে তার পাশেই শ্রমিক লীগ অফিসের আড়ালে চলছিল পুরনো এ কারবার। পরে বুধবার (৯ অক্টোবর) রাত ৯টা দিকে আখাউড়া থানা পুলিশ সেটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালায়।




Discussion about this post