নিজস্ব প্রতিবেদক: সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত ধীর গতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছেন, ৮ বছরেও তদন্তের কোনো অগ্রগতি নেই। ফলে মামলা বাতিল চেয়ে আসামি তানভীরের মামলা কবে শেষ হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এবিষয়ে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আগামী বৃহস্পতিবার আসামি তানভীরের মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনের আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই মামলার তদন্তে হতাশা ব্যক্ত করেন
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
সকালে তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার শফিকুল আলম হাজির হয়ে জানান, তদন্তে কোনো ক্লু (সূত্র) পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি মিলেছে। এ দুটিতে আসামিদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে সেগুলো ফের যুক্তরাষ্ট্রে এফবিআইর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
আদালত জানান, আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলার সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের জামিন আবেদনের ওপর আদেশ দেয়া হবে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছিলেন। ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর আসামি তানভীর রহমান হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। এ মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ৮ আসামি।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তাসম্পাদক গোলাম মোস্তফা সরোয়ার ওরফে সাগর সরোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসায় খুন হন। এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলানগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।




Discussion about this post