নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনায় দিনেদুপুরে স্ত্রীর সামনেই স্বামী রিফাত শরীফকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এই কথা জানান।
এদিকে, রিফাত হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধেয় কী অ্যাকশন নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাসারকে আজ দুপুর দুইটার মধ্যে বরগুনার ডিসি ও এসপির কাছ থেকে এই বিষয়ে জেনে হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়।
এই সময়ে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রকাশ্য দিনের আলোয় এমন ধরনের ঘটনা ঘটলো; ভিডিও করা হলো; ঘটনাস্থলে লোকজন দাঁড়িয়ে থাকলো; অথচ কেউ সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেনি। এটা সমাজের অবক্ষয়ের চিত্র; সারা দেশের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডে মর্মাহত।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রিফাত শরীফের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ৬ নম্বর বুড়িরচর ইউনিয়নের বড় লবণগোলা গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রিফাত শরীফ সকালে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকাকে কলেজে নিয়ে যান। কলেজ থেকে ফেরার পথে মূল ফটকে নয়ন, রিফাত ফরাজীসহ আরো দুই যুবক রিফাত শরীফের ওপর হামলা চালায়।
রিফাত শরিফকে এলোপাতাড়ি কোপানোর সময় তার স্ত্রী সন্ত্রাসীদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন। একা এত জনের সাথে পেরে উঠছিলেন না আয়েশা। তবুও স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা। উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না কি করা উচিত। সেই মুহূর্তে সন্ত্রাসীরা স্থান ছেড়ে করে চলে যায়।
পরে স্থানীয় লোকজন রিফাত শরীফকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে রিফাত শরীফের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করে। পরে পুলিশ ৪ নম্বর আসামি চন্দনকে গ্রেফতার করেন।