নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জেল আপিল করেছেন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামি। হাইকোর্টের আপিল সেকশন থেকে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে তারা জেল আপিল ফাইল করেন। ১৬ আসামি এখন কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে আছেন।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা আপিলের প্রেক্ষিতে এখন হাইকোর্ট সেকশনে পেপারবুক তৈরি করা হবে। একই সাথে প্রসিকিউশনের ডেথ রেফারেন্স এবং আপিলকারীদের জেল আপিলের শুনানি করা হবে। জেল আপিলে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হাইকোর্টের কাছে বেকসুর খালাস চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
আপিলকারীরা হলেন,- সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা, নূর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, সোনাগাজী পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, হাফেজ আবদুল কাদের, আবছার উদ্দিন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে শম্পা ওরফে চম্পা, আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মোহাম্মদ শামীম, মাদ্রাসার গভর্নিং বডির সহসভাপতি রুহুল আমীন ও মহিউদ্দিন শাকিল।
এর আগে নুসরাত হত্যা মামলায় গত ২৪ অক্টোবর, ১৬ আসামির মৃত্যুদন্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদন্ডের রায় দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে থানায় যৌন হয়রানির অভিযোগ দেয়ায় এবং তাকে গ্রেফতার করায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা নুসরাতের উপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দিলে নুসরাত অপারগতা দেখায়। পরে ৬ এপ্রিল সকালে পরীক্ষা হল থেকে তাকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়।
এরপর গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যু বরণ করে নুসরাত। এ ঘটনায় নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে ৮ এপ্রিল সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে ২৯ মে ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পিবিআই।