নিজস্ব প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এদের মধ্যে সিদ্দিকী নাজমুল আলম বর্তমানে যুক্তরাজ্য প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, শুধু ছাত্রলীগের এই তিন নেতার বিরুদ্ধেই অনুসন্ধান চলছে তা নয়, সব মিলিয়ে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে জাতীয় সংসদের হুইপসহ চারজন সংসদ সদস্য, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পাঁচ কাউন্সিলরসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা রয়েছেন।
দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে সাত সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়। অনুসন্ধান দলের প্রাথমিক তদন্তের ফল হিসেবে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপ্রদর্শিত ও অবৈধ সম্পদের তথ্য হাতে পেয়েছে দুদক। আর সে তালিকা অনুযায়ী, এবার অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত দলের প্রধান সৈয়দ ইকবাল হোসেন বা দুদকের কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত জানান, দুদকের অনুসন্ধান দল কাজ করছে। এতে অনেকেরই নাম এসেছে। বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি গণমাধ্যমে আসা নামগুলোও সংগ্রহ করে অনুসন্ধান দল কাজ করছে।
তালিকা বড়-ছোট না, যাদের নামে অভিযোগ আসছে তার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযুক্ত অবৈধ সম্পদ ও মুদ্রাপাচারের বিষয়টি দুদকের এখতিয়ারভুক্ত। অনুসন্ধানে তথ্যপ্রমাণ মিললে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হবে। তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে কমিশন মামলা করবে। দুদকের অনুন্ধান দলের তালিকায় চারজন বর্তমান ও একজন সাবেকসহ পাঁচজন সংসদ সদস্যের নাম রয়েছে।