বিডি ল নিউজঃ জীবনের ৬৭তম বসন্তে চিরকুমারের অবসান ঘটতে যাচ্ছে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের। সুদীর্ঘকালের একাকিত্ব ঘুচবে আজ। ঢাকার বেইলি রোডের মন্ত্রীপাড়ার বাসা থেকে বর সেজে তিনি যাবেন কনে হনুফা আক্তার রিক্তার বাড়ি কুমিল্লার চান্দিনার মীরাখলা গ্রামে। সেখানে তাঁদের বিয়ে হবে। বিয়ে পড়াবেন কাজী মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান।
আজ দুপুরে ঢাকা থেকে বরযাত্রীরা রওনা হয়ে পথিমধ্যে জুমার নামাজ আদায় শেষে বাদ জুমা মীরাখলা পৌঁছবেন। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলা সদর দপ্তর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত গলাই ইউনিয়নের মীরাখলা গ্রামে কনে রিক্তার বাবার বাড়ি। প্রায় ১০০ স্বেচ্ছাসেবক, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় শতাধিক সদস্য সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন বলে জানা যায়।রাতেই ঢাকার মন্ত্রিপাড়ার বাসায় নববধূকে নিয়ে ফিরবেন রেলমন্ত্রী। সেখানেই হবে তাদের ফুলশয্যা।
বরের বড় ভাই সাবেক সচিব এবিএমএ লতিফ জানান, সব আত্মীয়কে দাওয়াত দেয়া হয়েছে। বিয়েতে কোনো যৌতুক নেয়া হচ্ছে না। কখনো নেয়া হবে না। বিয়ে শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই বর-কনে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। সন্ধ্যার আগেই মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্টে উঠবেন বর-কনে।
জানা গেছে, কনের বাড়িতে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ঢাকা ও কুমিল্লার দুটি প্রতিষ্ঠানকে ডেকোরেটরের কাজ দেয়া হয়। অতিথিদের আপ্যায়নে তিন ধরনের প্যান্ডেল করা হয়েছে। বর, ভিআইপি অতিথি ও সাধারণ অতিথিরা বসবেন পৃথক পৃথক স্থানে। তবে খাবারে কোনো পার্থক্য হবে না।
ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বিসহ প্রায় ২৫ জন মন্ত্রী-এমপি বিয়েতে থাকবেন। অতিথিদের গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে তালতলা বাজারে।
এদিকে আলোকসজ্জাসহ সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার নজরুল ইসলাম খান ও সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে চান্দিনা থানার ওসি গোলাম মোর্সেদসহ রাজনৈতিক ঊর্ধ্বতন নেতারা কনের বাড়িসহ এলাকা ঘুরে তদারকি করছেন।
কনের পরিবারের সদস্যদের পক্ষে লুৎফুর রেজা খোকন আরো জানান, বিয়ের তোরণ, প্যান্ডেল নির্মাণ থেকে শুরু করে আলোকসজ্জার কাজ শেষ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত সব কিছুই ঠিকঠাক আছে। আশা করি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না। বর ও কনের সার্বিক মঙ্গলের জন্য তিনি সবার দোয়া কামনা করেন।
বুধবার জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় বর রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও কনে হনুফা আক্তার রিক্তার গায়ে হলুদ। জমকালো আনন্দমুখর ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন দেশ বরেণ্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
Discussion about this post