ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকার পর এবার প্রশাসন ভবনে পাওয়া গেছে বিষধর গোখরা সাপ। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছে ক্যাম্পাসে ঝোপঝাড় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষাক্ত পোকা-মাকড় ও সাপের উপদ্রপ বেড়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং পাহারাদার আনসার সদস্যদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে পরিবহন অফিসের পিয়ন ফিরোজ রুম পরিষ্কার করছিল। এ সময় অফিসের আলমারির ওপরে রাখা পরিত্যক্ত কাগজ-পত্রে হাত দিলে সাপটি ফনা ধরে। এসময় ফিরোজ লাফিয়ে মেঝেতে পরে যায় এবং সাপ বলে চিৎকার দিয়ে রুমের বাইরে চলে যায়। চিৎকার শুনে কয়েকজন ছুটে এসে সাপটিতে মেরে ফেলে। ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রশাসন ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর আগে শিক্ষদের আবাসিক এলাকা থেকে একটি গোখরা সাপ মারা হয়েছিল। এছাড়াও মাস খানেক আগে জিয়াউর রহমান হলের নিচ তলার দুটি রুমে সাপ পাওয়া যায়। সর্বশেষ গত রবিবার শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের টয়লেটে ও বাথরুমে সাপ পাওয়া যায়।
এদিকে বারবার সাপের উপদ্রবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রাতে পাহারাদার আনসার বাহিনীর সদস্যরা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। রাতের অন্ধকারে পাহারা দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন- “এত বড় বড় ভবন একা একা পাহারা দিতে এমনিতে ভয় লাগে। এরপর সাপের কথা শোনার পর থেকে মনের মধ্যে ভীতি কাজ করছে।”
লালন শাহ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা হলে রাস্তায় হাটতে খুব ভয় হয়। মনে আতঙ্ক কাজ করে। ক্যাম্পাস খোলার এক মাস পার হলেও রাস্তার আশপাশ এখনো ঝোপঝাড়ে ভরা। আমরা এ বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ দাবি করছি। এস্টেট শাখার প্রধান পারভেজ মিয়া বলেন- “আমরা পরিষ্কার অভিযান শুরু করেছি। বৃষ্টির কারণে কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আশা করি খুব দ্রুত ক্যাম্পাসের সকল ঝোপঝাড় পরিষ্কার হয়ে যাবে।
Discussion about this post