ভাষাসৈনিকদের স্মরণে স্থাপিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও পবিত্রতা সংরক্ষণে সাত বছর আগে হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়ে রায় দিয়েছিলেন, তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ভাষাসৈনিকদের প্রকৃত তালিকা তৈরি, শহীদ মিনারের পাশে একটি লাইব্রেরিসহ ভাষা জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পদক্ষেপ ও অগ্রগতি ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সংস্কৃতিসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
২০১০ সালে ভাষাসৈনিকদের স্মরণে স্থাপিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও পবিত্রতা সংরক্ষণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন। বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে বলেও জানান আদালত।
এরপর হাইকোর্টের দেওয়া আট নির্দেশনার মধ্যে ভাষাশহীদদের তালিকা তৈরি, লাইব্রেরিসহ জাদুঘর নির্মাণসংক্রান্ত নির্দেশনাসহ অর্ধেক নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে গত বৃহস্পতিবার বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এর ধারাবাহিকতায় আজ রোববার বিষয়টি আদেশের জন্য আসে। আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ রায় দিয়েছিলেন। ভাষাসৈনিকদের প্রকৃত তালিকা ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে লাইব্রেরিসহ একটি জাদুঘর নির্মাণসহ অর্ধেক নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি। যেসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হয়নি, তা বাস্তবায়নের জন্য পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন ছয় মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে সংস্কৃতিসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Discussion about this post