রাজধানীর সবুজবাগে দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগের মামলায় তাদের মা তানজিন আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হান-উল-ইসলাম অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করে বুধবার (২১ জুন) মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।
এর আগে ১৮ মে ঢাকা সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সবুজবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান।
মামলার অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আসামি তানজিন আক্তার মামলার বাদী মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী। তথা ভিকটিম হোমায়ারা বিনতে মাহবুব ওরফে তাকিয়া (৬) ও মাশরাফি বিন মাহবুব ওরফে আবরারের (৭) গর্ভধারিণী মা। সাধারণত মায়ের হাতে নিজ সন্তান খুনের ঘটনায় মানসিক রোগাক্রান্তের প্রশ্ন উত্থাপন হওয়াটা স্বাভাবিক। এই মামলার আসামির বেলায়ও এমন গুঞ্জন থাকা সম্পর্কে তদন্ত করে জানা যায়, আসামি তানজিন ঘটনার বেশ কিছুদিন আগে কিছুটা মানসিক রোগাক্রান্ত থাকলেও বাদী কর্তৃক সু-চিকিৎসা দেয়ার কারণে তিনি প্রায় সুস্থ হয়ে উঠেন। ঘটনার পরে তিনি নিজেকে অপরাধী ভাবেন এবং কৌশলে আত্মগোপনে চলে যান।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি তানজিনা সিজোফ্রেনিয়া নামক রোগাক্রান্ত থাকুক বা না-ই থাকুক, যে পরিস্থিতিতেই হোক তিনি অবুঝ দুটি শিশুকে নৃশংসভাবে গলা কেটে খুন করার দায়ে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় অপরাধ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১২ আগস্ট সবুজবাগের বাসাবো কমিউনিটি সেন্টারের বিপরীতে ১৫৭/২ নং বাসায় মাশরাফি ইবনে মাহবুব ও হুমায়রা বিনতে মাহবুব নামে দুই শিশুকে গলা কেটে হত্যা করেন তাদের মা তানজিনা। এ ঘটনায় তানজিনের স্বামী মাহবুবুর রহমান রাজধানীর সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওই মাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তাকে রিমান্ডে দেয়া হয়। রিমান্ড শেষে তিনি হত্যার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
Discussion about this post