নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় একটি মাজারের খাদেমকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর নাম সোনা মিয়া (৬৮)।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে নদনা ইউনিয়নের হাটগাঁও গ্রামের আফজাল শাহর মাজারে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত খাদেমের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়।
এ ঘটনায় জড়িত এক যুবককে মাজারের আশপাশের লোকজন আটক করেছে। তবে আটক যুবকের নাম-পরিচয় এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। জানতে চাইলে রাত নয়টায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম মাজারের খাদেমকে গলা কেটে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে দিকে যাচ্ছেন। রাত দশটায় পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। এ বিষয়ে কিছুক্ষণ পরে কথা বলবেন।
নদনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ রাত সাড়ে নয়টায় মুঠোফোনে বলেন, সন্ধ্যার দিকে হাটগাঁও গ্রামের আফজাল শাহর মাজারের খাদেমকে দুই দুর্বৃত্ত গলা কেটে হত্যা করেছে বলে শুনেছেন। গ্রামের সড়কে হাঁটু পানি থাকায় এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেননি।
নদনা ইউনিয়নের আনসার আতিক উল্লা স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে বলেন, সোনা মিয়া নামের ওই ব্যক্তি প্রায় বছরখানেক ধরে হাটগাঁও গ্রামের আফজাল শাহর মাজারে খাদেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। সন্ধ্যার দিকে খাদেম সোনা মিয়া মাজারে মোমবাতি জ্বালাতে যান। এ সময় দুই যুবক তাঁকে গলা কেটে হত্যা করে। তিনি আরও জানান, ঘটনার পর মাজারের আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে এক যুবককে ধরে ফেলেন। তাঁর বয়স অনুমান ১৮-১৯ বছর হবে। তবে আটক যুবকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনার আশপাশের কয়েক হাজার মানুষ ওই এলাকায় ভিড় করেন। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসেছেন।
Discussion about this post