অবিবাহিতা সেজে বিয়ে। এরপর ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা। তারপর স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে বউ আবার বিয়ের পিঁড়িতে।
এভাবেই একের পর এক বিয়ে ও মামলা করে পুরুষদের নির্যাতন ও হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠেছে সাবিনা আক্তার নামের এক নারীর বিরুদ্ধে।
ওই নারীর নির্যাতনের শিকার ঢাকা জজকোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী মো. আতাউর রহমান খান পুরুষ নির্যাতনের বিরুদ্ধে মেহেরপুরে গতকাল রোববার (২২ জানুয়ারি) অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে ।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মেহেরপুর প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তিনি।
আতাউর রহমানের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর গ্রামে।
অবস্থান ধর্মঘট পালনকালে তিনি জানান, রাজবাড়ীর কালুখালি সাবিনা খাতুন প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে চাকরিকালীন নিজেকে অবিবাহিত পরিচয়ে তাকে বিয়ে করে। বিয়েরপর তার ছোটবোন ইতি আমেরিকা আছে বলে জানায়। সেখানে যেতে চাইলে তাকে পাসপোর্ট করতে বলে। জরুরি পাসপোর্ট করার পর বিভিন্ন কৌশলে তার কাছ থেকে নগদ ২৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আমেরিকা পাঠাচ্ছে না বুঝতে পারলে সাবিনার সঙ্গে বিরোধ দেখা দেয়।
তিনি জানান, সাবিনা তাকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে তাকে তালাক দেয়। পরে নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ২৪ নভেম্বর ২০১৫ সালে মেহেরপুরের গাংনী থানায় একটি মামলা করে।
ধর্মঘট পালনকারী এ যুবক জানান, এ মামলা মেহেরপুর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওই মামলায় আতাউর ১২৬ দিন হাজতবাসও করেছে।
এর আগে সাবিনা আরও দুটি বিয়ে করে সেখানে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেছে বলেও অভিযোগ করেন আতাউর।
তিনি জানান, সাবিনা ফরিদপুরে চাকরিকালীন সময়ে সাব্বির হোসেনের দায়ের করা প্রতারণার অভিযোগের মামলায় তিন মাস হাজতবাস করে। আতাউরকে ডিভোর্সের পর সাবিনা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সমশের আলীর ছেলে জহিরুল হক নামের এক যুবককে বিয়ে করে তাকেও ডির্ভোস দিয়েছে।
সাবিনা বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে আতাউর তার নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, প্রতারণা করে নেয়া ২৫ লাখ টাকা ফেরৎ ও তার নিরাপত্তার দাবি করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অবস্থান ধর্মঘটের আগে আতাউর তার নিরাপত্তা চেয়ে মেহেরপুর থানা পুলিশের কাছে আবেদন করেন। খবর যুগান্তরের
Discussion about this post