বর্তমানে ঢাকাসহ সারা দেশে চলছে বিএনপির ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ। ঢাকার ভিতর চলাচল কিংবা ঢাকায় আসা কিংবা ঢাকা থেকে অন্য কোথাও যাওয়া এক কথায় যানবাহনে চলাচলের সময় একটাই ভয় কখন জানি পেট্রোল বোমার আগুন এসে গায়ে লাগে। সব সময়ই এই আতংক। যাদের শরীর পেট্রোল বোমার আঘাতে পুড়ে গেছে তাদের দেখে অবশ্যই আপনি আরও বেশী আতংকে আছেন। তাই, চলাচলে নিচ্ছেন না কোন ঝুঁকি। তারপরও যখন নেহাত প্রয়োজন পড়ে তখন তো অবশ্যই বের হতে হবে। আর তখনই ঝুঁকির পাশাপাশি জেনে নিন কিছু পরামর্শ যা আপনাকে পেট্রোল বোমা থেকে নিরাপদ রাখতে পারে। গাড়িতে আগুন দেওয়া বা পেট্রল বোমা নিক্ষেপের মত ঘটনার মতো পরিস্থিতিতে যানবাহনের চালক, কর্মী ও জনসাধারণের সতর্ক থাকাই বুদ্ধিমানের কাজ।
১. গাড়িতে উঠার পর সিটে বসা মাত্রই জানালার কাঁচ বন্ধ রাখুন।
২. গাড়ির আগুনে জায়গায় সম্ভব হলে পর্যাপ্ত পানি ঢালুন। প্রয়োজনে গাড়িতে সব সময় পানি সংরক্ষণ করুন এবং আগুনে দগ্ধ বা আহত ব্যক্তিকে দ্রুত ডাক্তারের চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
৩. বাসে রাখা অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নিয়ে টানাটানি থেকে বিরত থাকুন। অনিরাপদ স্থানে গাড়ি পার্ক করা থেকে বিরত থাকুন, এবং গাড়ি অনিরাপদ স্থানে রেখে রাতে ঘুমাবেন না।
৪. শরীরে যদি আগুন লেগে যায় তা হলে তৎক্ষণাৎ মাটিতে গড়াগড়ি করুন। কারণ এদিক ওদিক দৌঁড় দিলে আগুন বেড়ে যায়।
৫. অবশ্যই প্রত্যেক গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স সংরক্ষণ করে রাথুন। প্রয়োজনে বড় গাড়িতে দুইটি করে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাথার ব্যবস্থা করুন।
৬. গায়ে আগুনে লাগা ব্যক্তিকে ভেজা বা মোটা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে ধরুন, এতে আগুন নিভে যাবে। গাড়িতে অবশ্যই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বরটি বড় অক্ষরে লিখে রাখুন যেন সবাই নাম্বারটি দেখতে পায় (০২-৯৫৫৫৫৫৫ অথবা ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯)। এতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যোগাযোগ করুন। একই সাথে এমন অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করুন এবং সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সকে খবর দিন।
নিরাপদ থাকুন, অতিরিক্ত প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়ার কোন দরকার নেই। নিজের পাশাপাশি আপান্র পাশের জনের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখুন। আর এই পোস্ট দ্রুত শেয়ার করে সকলকে কিছুটা পরামর্শ তাদেরও জানান, যাদের ভালো আপনি চান।
Discussion about this post