বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে ছয় মাসের মধ্যে সাত সদস্যের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন স্বতন্ত্র কমিশন গঠনে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই কমিশন বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে এলাকাভিত্তিক মানসম্মত বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করবে।
বুধবার বিচারপতি বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন কার্যকরের বিষয়ে জারি করা একটি রুলের রায়ে এ আদেশ দেন।
ঐ কমিশনে আইন ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ ও আইনজ্ঞের সমন্বয়ে একটি সাত সদ্যের কমিটি গঠনের জন্য বলা হয়েছে। এই কমিশন দেশের বিভিন্ন শহরে গিয়ে ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিকদের সঙ্গে কথা বলে ভাড়া নিয়ে যে বিরোধের সৃষ্টি হয় তা নির্ণয় করবেন। পরে তা পর্যালোচনা করে সরকারের নিকট একটি সুপারিশ পেশ করবে। সুপারিশে এলাকাভিত্তিক সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
রায়ে বলা হয়েছে, এই কমিশনের সুপারিশ পর্যাপ্ত সরকারের আর্থিক সক্ষমতা অনুযায়ী মহানগরীর প্রতিটি এলাকায় একজনকে রেট কন্ট্রোলার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে বাড়ির মালিকদের বিরোধ হলে এবং বাড়ির মালিক যদি ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করতে চায় তাহলে সংশ্লিষ্ট থানাকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভাাটিয়ার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালত বলেছে, একনায়কতন্ত্রভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করা কোন গ্রহণযোগ্য বিষয় হতে পারে না। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেই নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা করতে হবে। বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অ্যাডভোকেট মনজুর মোর্শেদ। রিট আবেদনের শুনানি শেষে আজ এই রায় দেয়া হয়।
২০১০ সালের ১৭ মে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন ও বিধি-বিধান কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে সরকারের প্রতি ওই রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
এরআগে, ওই বছরের ২৫ এপ্রিল বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ কার্যকরের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছিল।”প্রিয়
Discussion about this post