রাজনৈতিক শরনার্থী হিসেবে কোন দেশে আশ্রয় গ্রহণের জন্য প্রথমেই আশ্রয়প্রার্থীকে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সময় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়ার কারণ। যে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করা হবে সে দেশের দূতাবাসে নিদিষ্ট আবেদনপত্রে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্রে আশ্রয় চাওয়ার কারণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করতে হবে।
এখানে যে ঘটনার কারণে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া হচ্ছে সেই ঘটনার বিবরণসহ তারিখ দিতে পারলে আশ্রয় প্রাপ্তির সম্ভাবনা বেশি থাকে। সম্ভব হলে ঘটনার কোন লিখিত সংবাদ প্রতিবেদন থাকলে তা আবেদনপত্রের সাথে যুক্ত করে দেওয়া। এর বাইরে নিচের পরিচয়, পেশা, ও রাজনৈতিক আদর্শ দিতে হবে। এছাড়া রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীকে নিজ দেশের রাজনৈতিক ও মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে বর্ণনা দিতে হবে।
আবেদনপত্র যে দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া হচ্ছে সে দেশের এই সংক্রান্ত অধিদপ্তর বরাবর প্রেরণ করতে হবে। রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের আবেদন নিদিষ্ট দেশটির কর্মকর্তারা ও শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় আবেদনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ শরনার্থী কমিশন আবেদনপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে।
সবকিছু প্রার্থীর পক্ষে গেলে দেশটির আইন অনুসারে প্রার্থীকে রাজনৈতিক শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় গ্রহণের আবেদন গ্রহণ করবে। আবেদনপত্র তিন মাসের মধ্যে গৃহীত হয়ে থাকে। তবে ব্যক্তির রাজনৈতিক গুরুত্বের ওপরে সময় কম লাগতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হলে, এক বছরের মধ্যে আশ্রয় গ্রহণকারীকে গ্রীণ কার্ড দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আর দশজনের মত কাজ করার সুযোগ পাবেন। কোন রাজনৈতিক আশ্রয়কারী যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বছর বাস করার পর দেশটিতে স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভ করতে পারেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাধ্যতামূলক জবাবদিহি শিবিরে থাকতে হবে। এখানে আবেদনকারীকে সর্বোচ্চ ৭৪ দিন বাস করতে হতে পারে।
কানাডা রাজনৈতিক বা যুদ্ধ শরণার্থীদের অতি সহজেই আশ্রয় দান করে। এই দেশটিতে রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণকারীরা আর দশ জনের মতই কাজ করতে পারে। এছাড়া দক্ষ কর্মীদের কানাডার নাগরিক দিয়ে থাকে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
লেখাটি প্রিয়মানুষদের জন্য শেয়ার করুণ
Discussion about this post