বিডি ল নিউজঃ বিশ্বকাপ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তাঁকে বাদ দেওয়ার যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারছেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট মুস্তাফা কামাল। তাই নিজের সংস্থার বিরুদ্ধেই এবার আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা ভাবছেন তিনি।
আইসিসি-র নিয়মানুসারে যে কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী করার কথা প্রেসিডেন্টের। বরাবরই বিশ্বকাপের ফাইনালে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দিয়ে আসছেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট। কিন্তু, রবিবার দেখা যায় এমসিজিতে বিজয়ী অস্ট্রেলিয়া দলকে বিশ্বকাপ তুলে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসন। এমনকী, মাঠে উপস্থিত থাকা সত্ত্বেও কামালকে মঞ্চে ডাকা হয়নি। অপমান সহ্য করতে না পেরে মাঠ ছেড়ে চলে যান ক্ষুব্ধ কামাল। জানা যায় শ্রীনির ফরমানেই নাকি কামালকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
নিজের অপমানের ‘বদলা’ নিতে এদিনই অন্য ময়দানে নামেন কামাল। হুঙ্কার দেন, যে ভাবে আইসিসি (বা বলা ভাল শ্রীনিবাসন) নিয়ম ভেঙে তাঁকে পুরস্কার বিতরণ করা থেকে বাদ দিয়েছে, তা অসাংবিধানিক ও অনভিপ্রেত। ক্ষুব্ধ কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিরে সেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করব। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও পরামর্শ করব। যা হয়েছে তা অসাংবিধানিক ও অনভিপ্রেত।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলাদেশের যোজনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব রয়েছেন কামাল।
বস্তুত, বিজয়ী দলের হাতে কে পুরস্কার তুলে দেবেন, সেই নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছিল চাপানউতোর, যার সূত্রপাত হয়েছিল ভারত-বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের পর। ওই ম্যাচ নিয়ে আম্পায়ারিং নিয়ে বিষোদগার করেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন কর্তা কামাল। যার মর্মার্থ ছিল, আইসিসি ভারতকে অতিরিক্ত সহায়তা করেছে ওই ম্যাচ জিততে।
তাঁর মন্তব্যের জেরেই প্রকাশ্যে আসে আইসিসির অন্তর্দ্বন্দ্ব৷ বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন, অর্থাত্ শনিবারই শ্রীনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, আইসিসির আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন মুস্তাফা কামাল৷ তাই, বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দিতে পারবেন না তিনি৷ কামালও শ্রীনির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টা অভিযোগ আনেন৷ সূত্রের খবর, এ-নিয়ে দু’জনের তীব্র বাদানুবাদও হয়৷
শ্রীনি-কে সিদ্ধান্ত বদলের জন্য চাপ দিতে অন্যান্য দেশের ক্রিকেট-বোর্ডের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠকে বসেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট৷ তবু, সিদ্ধান্ত-বদল হয়নি৷ শ্রীনির ফরমানে পুরস্কার বিতরণ করার সুযোগ হাতছাড়া হয় কামালের। তবে, এই অপমান তিনি যে ক্ষোভে ফুঁসছেন, তা এদিন সাফ হয়ে যায়।
-এবিপি আনন্দ
Discussion about this post