বিডি ল নিউজঃ
বাজছে ঢাকঢোল,বাজছে শানাই । কোথাওবা উলু ধ্বনি। বিয়ের পিঁড়িতে বসে আছেন বর, পুরোহিতের মন্ত্র পড়া চলছে। ঠিক তখনই কনের বাবার দিকে একটি কাগজ এগিয়ে দিলেন বর। তাতে লেখা ১৪ শর্ত। আর তা পড়ে তেলে আগুনে জ্বলে ওঠেন কনের বাবা।
বরের দাবি, বিয়ে শুরু হওয়ার আগেই কনের তরফে চুক্তিপত্রে সই করে দিতে হবে। শর্ত অনুযায়ী, পরিবারে কোনো ঝামেলা বা অশান্তি হলে কোনো পক্ষ থানায় অথবা আদালতে মামলা বা অভিযোগ দায়ের করতে পারবে না। এ রকম ১৪টি দাবি তোলেন বর।
বিষয়টি নিয়ে কনের বাড়ির লোক যতই সনাতনকে বোঝানোর চেষ্টা করে, তা তিনি কানে তুলতে নারাজ। এদিকে বিয়ের লগ্ন পেরিয়ে যায়-যায়। এরপরই খেপে গেল কনে। ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা জানান, ‘লগ্নভ্রষ্ট হতে হয় হব। কিন্তু বিয়ের আগে যে শর্ত দেয়, তার ঘর করব না। তাতে আমার জীবনটাই নষ্ট হয়ে যায় যাবে।’
এরপর বরকে দুই চার ঘা দিয়ে ঘরে বন্দি করা হয়। অবস্থা বেগতিক বুঝে বরযাত্রীরা সটকে পড়েন। বরের বোন বলেন, ‘ভাই যা দাবি করেছে, আমার মেয়ের ক্ষেত্রে হলেও আমি রাজি হতাম না। ওর সঙ্গে সম্পর্ক রাখব না।’
তাতে কনে পক্ষের মন গোলেনি। বরং বিয়ের আয়োজনে যে খরচ হয়েছে, ক্ষতিপূরণ বাবদ তা দিতে হবে বলে দাবি করেন গ্রামবাসী। তাছাড়া বরপক্ষ কিছু নগদও নিয়েছিল বলে কনেপক্ষের অভিযোগ। কিন্তু শনিবার দুপুর পর্যন্ত আটকে রাখা হলেও সনাতন ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হননি।
শনিবার দুপুরে পুলিশ বরকে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পুলিশের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ করে তারা। পরে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে পুলিশ বরকে ধরে নিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের নদিয়া জেলার হাঁসখালি এলাকার একটি গ্রামে।
Discussion about this post