অগ্নিকাণ্ডে নিহত শিশুর বাবা আলি সাদ দাওয়াবশেহ ও চার বছরের বড়ভাইও আহত হয়েছেন। নাবলুসের রাফিদিয়া হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহতদের শরীরের ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষে নিন্দা জানিয়ে এক বিবৃতিতে লেফটেনেন্ট কর্নেল পিটার লার্নার বলেছেন, জনসাধারণের ওপর এ ধরনের হামলা বর্বরোচিত। হামলাকারীদের সন্ধান করা হচ্ছে। দ্রুত তাদের আটক করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
এদিকে, এ ঘটনায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের দিকেই আঙ্গুল তুলেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের মুখপাত্র নাবিল আবু আরদেইনেহ বলেছেন, ইসরায়েল সরকারই এ ঘটনার জন্য দায়ী। কারণ তারা ফিলিস্তিনে উপনিবেশিকতার মনোভাব নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনার চেষ্টা করে ও যারা এ ধরনের কাজ করে তাদের পক্ষ নেয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এ ‘অন্যায়’ মেনে নিয়ে নিরবতা পালনের মাধ্যমে ‘প্রশ্রয়’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও দোষারোপ করেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, গ্রামের প্রবেশমুখের ওই দুই বাড়িতে আগুন দিয়ে সন্ত্রাসীরা একটি দেওয়ালে হিব্রু ভাষায় ‘প্রতিশোধ’ ও ‘মসীহ দীর্ঘজীবি হোক’ লিখে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অন্তত চারজন দুর্বৃত্ত এ ঘটনা ঘটায়। দুমা গ্রামের কাছে ইসরায়েলের অন্তত তিনটি অবৈধ বসতি রয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, এই অঞ্চলে ইসরায়েলের অবৈধ অধিবাসীরা চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে অন্তত ১২০টি হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
Discussion about this post