হাসান মুরসালিন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উদ্যোগে জাতীয় জলাতংক নির্মূল কর্মসূচির অংশহিসাবে কুকুরে কামরের আধুনিক চিকিৎসার পাশাপাশি সারাদেশে ব্যাপক হারে কুকুরের জলাতঙ্ক প্রতিষোধক টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রযেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সমগ্র সিরাজগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলায় জলাতঙ্ক প্রতিরোধে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি শেষ হল। ১৭ই মে হতে শুরু হওয়া ৪ দিন ব্যাপী এ কর্মসূচিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভা ও সকল ইউনিয়নে দেখতে পাওয়া ৬৪১৪টি কুকুরের মধ্যে ৫০৮৫টি কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধক টিকাপ্রদান করা হয়। শতকরা ৭৯ ভাগ কুকুরকে টিকা প্রদান করা হয়। ব্যাপকহারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গৌরাংগ কুমার তালুকদার বলেন, একটি নির্দিষ্ট এলাকায় শতকরা ৭০ভাগ কুকুরকে প্রতিবছর পরপর ৩ বার সিরাজগঞ্জে ৪দিন ব্যাপী কুকুরের টিকাদান কর্মসূচী সফলভাবে শেষ হতে যাচ্ছে। তবে জেলার অধিকাংশ কুকুর নিরাপদ জলাতঙ্ক প্রতিষোধক টিকাপ্রদান করা হলে ঐ এলাকার কুকুর গুলোতে জলাতঙ্কের বিরুদ্ধে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। ফলে কুকুরের কামড়ে মানুষের জলাতঙ্ক রোগ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস পাবে। তিনি আরো বলেন বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ হিসাবে ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সকল জেলায় পরপর তিনবার কুকুর টিকাদান করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ হতে জলাতঙ্ক নামক মরণব্যাধি নির্মূল করা সম্ভব। এছাড়াও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেন, সবার সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সদর উপজেলা সহ অন্যান্য ৫টি উপজেলায় সফলভাবে এমডিভি কার্যক্রম সমাপ্ত হওয়ায় সিরাজগঞ্জ বাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি আশা করেন সিরাজগঞ্জ জেলার ন্যায় পরবর্তীতে অন্যান্য জেলায় এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকলে সকলে মিলে কর্মসূচি সফল করে জলাতঙ্ক মুক্ত দেশ গড়তে সহজ হবে।
Discussion about this post