বিডি ল নিউজঃ আজ বুধবার ( ২২ এপ্রিল ) চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুনাভ চক্রবর্তীর আদালতে বহুল আলোচিত সাহিদা হত্যা মামলায় সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট ফরিদগঞ্জের নানুপুর খালপাড়ে এনে ধর্ষণের পর খুন করা হয় খুলনার দৌলতপুরের সজলা গ্রামের সাহিদা বেগমকে। পরবর্তীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এরপর চাঁদপুর মডেল থানার তৎকালীন এসআই নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই সময় মামলাটির তদন্ত সাপেক্ষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।
পরে রসু খা ধরা পড়লে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার পর সে এ ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এর ভিত্তিতে ২০১০ সালে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করা হয়। তদন্তশেষে এ মামলায় রসু খার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। দণ্ড বিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে স্বাক্ষগ্রহণ করা হয়। রসু খাঁর কৌঁশুলি না থাকায় আদালত সিনিয়র আইনজীবী মো. নইমুল ইসলামকে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে রসু খাকে আইনগত সহায়তা দেয়ার জন্য নিয়োগ করেন।
অ্যাডভোকেট নইমুল ইসলাম জানান, ‘সোমবার মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অরুনাভ চক্রবর্তীর আদালত। আজ আদালত ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন।’
চুরির ঘটনায় ২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর ঢাকার টঙ্গীর নিরাশপুর থেকে রসু খাকে আটক হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে সিরিয়াল কিলিংয়ের মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য। একে একে ১১ জন নারীকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে রসু খাঁ। পরবর্তীতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল ইসলামের কাছে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানন্দিতেও ১১ খুনের বর্ণনা দেয় সে। জবানবন্দিতে সে জানায়, তার ইচ্ছা ছিলো ১০১ নারীকে খুন করে সিলেট মাজারে গিয়ে সন্যাসী হওয়ার।”লেটেস্টবিডিনিউজ
Discussion about this post