নিজস্ব প্রতিবেদক: অপকর্মে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে পান্থপথের ওই নারীকে হত্যা করেন আনসার আলী। ডিবি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন খুনি নিজে।
জিজ্ঞাসাবাদে আনসার আলী খুনের বর্ণনা দিয়ে বলেছে, সে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির গলিতে একটি বাড়ির দারোয়ান। ওই বাড়ির পার্কিংয়ের পাশে তার থাকার একটি রুম ও টয়লেট রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এক নারীকে তিনি রুমে নিয়ে আসেন। ওই নারীর সঙ্গে সে অপকর্মে লিপ্ত হতে চান। এ সময় ওই নারী চিৎকার করতে গেলে আনসার রেগে যান। অপকর্মে ব্যর্থ হয়ে তাকে টয়লেটে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর রাত ২টার দিকে ওই নারীকে কয়েকটি বাড়ির পর ঘটনাস্থলে ফেলে আসে। ওই ফেলে আসার চিত্র ধরা পড়ে সিসিটিভিতে।
এর আগে শুক্রবার (১০ জুলাই) ভোররাতে রাজধানীর পান্থপথ সিগন্যাল সংলগ্ন গ্রীন রোডে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির গলির রাস্তায় ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় মোমেনা নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নারীর গ্রামের বাড়ি শেরপুর।
পুলিশ জানায়, অপকর্মে ব্যর্থ হয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পরে রাতেই ওই নারীর মৃত্যদেহ রাস্তায় ফেলে আসে আনসার আলী। হত্যার পর রক্তের সব দাগ পরিষ্কার করলেও কিছুটা থেকে যায়। সে রক্তের সূত্র ধরে আনসারের প্রতি পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনার আসপাশের ভবনের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করে। তার মধ্যে একটি সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দেখে যায় আনসার আলীকে। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘাতক আনসার আলীকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিবি রমনা জোনাল টিমের এডিসি মিশু বিশ্বাস বলেন, ‘খুনি আনসারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। প্রথমে ওই নারী অজ্ঞাত পরিচয়ের ছিল। পরে ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। ওই নারীর নাম মোমেনা খাতুন (৪০)। তার গ্রামের বাড়ি শেরপুর।’
তিনি আরো বলেন, ‘আনসারের বক্তব্যে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা বেরিয়ে এসেছে। তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও বিস্তারিত জানা যাবে। এদিকে মোমেনারও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় কলবাগান থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Discussion about this post