আইনজীবী কারা-

আইনজীবী কারা এ প্রশ্নের উত্তর সাধারনভাবে বলতে গেলে আরেকটি প্রশ্ন চলে আসে। তা হল আইন কি? আইনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলা যায় সর্বসম্মতিক্রমে কোন সমস্যার সমাধানে লিখিত বা অলিখিতভাবে যে  নিয়ুম প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকে তাকে আইন বলা হয়। এই নিয়ম প্রতিষ্ঠা এবং প্রাতিষ্ঠানিক রুপদান করতে আদালত প্রাঙ্গণে যারা দায়িত্ত্ব পালন করে থাকেন এবং আইনের বাস্তবায়ন করে থাকেন তাঁদেরকেই আইনজীবী বলা হয়ে থাকে।

আইনী পেশা সারা পৃথিবীব্যাপি একটি সম্মানিত এবং প্রশংসনীয় পেশা। আইনী পেশাকে ক্ষেত্রবিশেষে মহৎ পেশা বলা হয়ে থাকে। কারণ আইনজীবীরা সত্যকে ধারন করে তা প্রমানে অবিরত চেষ্টা করে থাকে।

আইনজীবীরা প্রথম শ্রেণীর নাগরিক

আইনজীবীরা প্রথম শ্রেণীর নাগরিক এবং অফিসার্স অব দ্য কোর্ট বলে জানিয়েছেন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চে রবিবার ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের আপিলের শুনানিকালে আদালত এ কথা বলেন।রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে আপিল বিভাগ বলেন, আপনারা আইনজীবীরা তো বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক। আপনারা মন্ত্রী, এ্যাম্বাসেডর, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, এ্যাটর্নি জেনারেল হতে পারেন।

আদালত বলেন, ড. মো. শহীদুল্লাহ ৫২টি ভাষা জানতেন এবং ১৭টি ভাষায় উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। কিন্তু তিনি তার নামের আগে বিজ্ঞ কথাটি লিখতে পারতেন না। আইনের ধারক আইনজীবীরা বিজ্ঞ শব্দটি ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের আপিলের অধিকতর শুনানিকালে আদালত এ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জেলা জজদের সচিবের সমপর্যায়ের মান দিলে আপনার সমস্যা কী? এ বিষয়ে আপনি আপত্তি করেন কেন? এ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, জেলা জজদের যুগ্ম-সচিবের সমপর্যায়ের মান দেওয়া হয়েছে।আদালতের শুনানিতে রিটকারীদের আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ জেলা জজদের পদক্রম সচিবের সমপর্যায়ে নিয়ে আইন করার নির্দেশনা দিতে আর্জি জানান।

• প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় পদক্রমের (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সকে অবৈধ ঘোষণা করে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে ৮টি নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।