রাজধানীর আদাবরে অভিযান পরিচালনা করে কক্সবাজার থেকে আসা পিকআপভ্যান থেকে দুটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি এবং সাত হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার চার মাদক ব্যবসায়ীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২৩ মে) তাদের চারজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে আদাবর থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদাবর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার মুন্সি পুলিশের কনেস্টেবল আব্দুল হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর আদাবর থানার রিং রোড হক সাহেবের গ্যারেজের সামনে অভিযানে অস্ত্র-মাদকসহ পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়। এসময় চার মাদক বব্যসায়ীকে আটক করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করে পুলিশ।
আটকরা হলেন- গাজীপুরের মো. ওসমান (৩৭), শাহজাহান সরকার (৩৬), সেলিম সরকার (৪৫) ও ময়মনসিংহের বাসিন্দা নুর ইসলাম (৩৫)।
র্যাব-২ জানিয়েছে, ডাব ও কাঁঠালভর্তি ওই পিকআপ ভ্যান সাদা কাগজে ‘জরুরি প্রাণী খাদ্য উৎপাদন কাজে নিয়োজিত’ স্টিকার সাঁটিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবার চালান গ্রহণ ও বহন করে ঢাকা, গাজীপুরে সরবরাহ করে আসছিল চক্রটি।
শুক্রবার দুপুরে র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, গ্রেফতাররা গডফাদারদের অর্থ ও পরিবহন সহযোগিতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার এলাকা থেকে জব্দকৃত পিকআপটিতে সাদা কাগজে ‘জরুরি প্রাণী খাদ্য উৎপাদন কাজে নিয়োজিত’ স্টিকার সাঁটিয়ে অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবার চালান গ্রহণ ও বহন করে ঢাকা, গাজীপুরে সরবরাহ করছিল। মাদক ব্যবসা নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে মাদক ব্যবসায়ীদের চাহিদা মতো কক্সবাজার থেকে অস্ত্রের চালান গ্রহণ করে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে বিক্রয় করে। কক্সবাজার থেকে রওনা করার সময় তাদের সামনে প্রাইভেটকারযোগে একটি এসকর্ট পার্টি থাকে। রাস্তায় চেকপোস্ট থাকলে বা গাড়ি তল্লাশি হলে এসকর্ট পার্টি সামনে থেকে সতর্ক করে দেয়।
Discussion about this post