বিডি ল নিউজঃ বাংলাদেশ দন্ডবিধির ৩৭৫ নং ধারা অনুযায়ী –কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অথবা কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া অথবা কোনো নারীকে মৃত্যু বা শারীরিক আঘাতের ভয় দেখিয়ে সম্মতি দিতে বাধ্য করলে অথবা নাবালিকা অর্থাত্ ১৬ বছরের কম বয়স্ক শিশু সম্মতি দিলে কিংবা না দিলে (সে যদি নিজ স্ত্রীও হয়) অথবা কোনো নারীকে বিয়ে না করেই ব্যক্তিটি তার আইনসঙ্গত স্বামী এই বিশ্বাস দিয়ে যদি কোনো পুরুষ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে আইনের ভাষায় ধর্ষণ বলা হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, অনুপ্রবেশই নারী ধর্ষণের অপরাধ রূপে গণ্য হবার যোগ্য যৌনসহবাস অনুষ্ঠানের জন্য যথেষ্ট বিবেচিত হবে। এবার খবরটি শুনুন, রাজধানীর কলেজগেট এলাকায় তরুণীকে জোর করে প্রাইভেট কারে তুলে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কারটির মালিক রনি হককে আটক করেছে পুলিশ। শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিজি বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আটক রনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ওসি আরও বলেন, ‘এখনও নির্যাতনের শিকার মেয়েটির কোনও সন্ধান পায়নি পুলিশ। তবে অভিযুক্ত রনিকে আটক ও তার প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়েছে।’ এর আগে শনিবার রাতে রনি ও তার ড্রাইভার একটি মেয়েকে জোর করে তাদের প্রাইভেট কারে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় রাস্তায় থাকা লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে কলেজ গেট এলাকায় প্রাইভেট কারটি আটক করে। পরে সেখান থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এবং রনি ও তার ড্রাইভারকে গণপিটুনি দেয় পথচারীরা। পরে রনির প্রাইভেট কারের ড্রাইভার পালিয়ে গেলেও রনিকে আটক করে পুলিশ।
শনিবার দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, একটু গভীর রাতেই ঘটনাটি ঘটেছে। কারণ সে সময় আশপাশের ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। মেয়েটিকে উদ্ধারকর্তা তরুণদের একজন ভিডিও করে সেটি ফেসবুকে ছড়িয়েছেন। আর ঘটনার বর্ণনাও তিনি দিয়েছেন। তবে পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনা অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে তারা। ঘটনার সময় উপস্থিত রাফি আহমেদ তার ফেসবুক পেজে সেহরির সময় দুটি ভিডিও পোস্ট করেন। এরপরই সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।
রাফি জানান, মোহাম্মদপুর, কলেজগেট সিগনালে ঠিক আমার সামনের প্রাইভেটকারটিতে কিছু একটা হচ্ছে বলে ধারণা করছিলেন তিনি। পরে লক্ষ্য করেন, গাড়ির পেছনের সিটে থাকা ছেলেটি একটি মেয়ের সাথে ধস্তাধস্তি করছে। বিষয়টি সন্দেহ হলে অনেকে এগিয়ে যায়। এ সময় চালক দ্রুত গাড়িটি নিয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাস্তায় যানজট থাকায় গাড়িটি বেশি দূর যেতে পারেনি।
পরে গাড়িটি ধরে ফেলে স্থানীয়রা। এ সময় তারা প্রাইভেটকারটির কাছে গিয়ে দরজা খুলতে বললে তারা গাড়ির দরজা খুলতে চায় না। পরে চাপের মুখে দরজা খোলা হয়। এ সময় পেছনের সিটে থাকা ওই যুবক নগ্ন ছিলেন। পরে প্যান্ট পরিয়ে তাকে বাইরে বের করে আনা হয় এবং ওই তরুণীকে অন্য নারী বাইরে বের করে আনতে সাহায্য করেন। রাফি লিখেন, ওই যুবক নেশাগ্রস্ত ছিলেন। পরে জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে নগ্ন করে রাস্তায় ছেড়ে দেয়া হয়। এ সময় গাড়ির চালক ও তিনি সে অবস্থতেই পালিয়ে যান।
Discussion about this post