ডেস্ক রিপোর্ট
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণের শুরুতেই আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আবদুল ওদুদ বিশ্বাস এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামিউল হক লিটন আপেল প্রতীক নিয়ে ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান খাঁন টেলিভিশন প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরুর পরই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সামিউল হক। একই সময় নৌকার সমর্থক হিসেবে ওই কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষক লীগের সাবেক সহসভাপতি আবদুল হাকিম। এ সময় নৌকা ও আপেল প্রতীকের প্রার্থী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনার দেখা দেয়। একপর্যায়ে শুরু হয় মারামারি। এতে দু’পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্র ছিল উত্তপ্ত। পরে পুলিশ, র্যাব ও ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মারামারির ঘটনায় নৌকার সমর্থক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য শাহাবুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম আহত হয়েছেন। তারা জানান, ‘সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দু’পক্ষের সমর্থকেরাই কেন্দ্রের ভেতরে ছিল। দু’পক্ষই স্লোগান দিচ্ছিল। এ সময় আপেল প্রতীকের সমর্থকেরা বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি করিস না। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে মারামারি শুরু হয়।
তবে, আবদুর রশিদ নামে এক নৌকার সমর্থক অভিযোগ করে বলেন, আপেল প্রতীকের প্রার্থী সামিউল হকের নির্দেশেই তাঁর কর্মীরা নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সামিউল বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী-সমর্থকেরাই আমার সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়েছে। আরও দুটি কেন্দ্রে এ রকম বিশৃঙ্খলার খবর পেয়েছি। ভোটগ্রহণের শুরুতেই নৌকার সমর্থকেরা যে রকম অবস্থা তৈরি করেছেন তাতে প্রশাসনের আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. শহিদুজ্জামান জানান, কেন্দ্রের ভেতরে স্কুলমাঠে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখে ভোটার ছাড়া সবাইকে বের করে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সবাইকে বের করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ঘটনায় ভোটগ্রহণে কোনো সমস্যা হয়নি বলেও জানান তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ১৭২ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। এরই মধ্যে ৯৭টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ১১ হাজার ৪৯৫ জন।
উল্লেখ্য, বিএনপি নেতা হারুনুর রশিদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ এবং আমিনুল ইসলাম চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য পদ হতে পদত্যাগ করায় আসন দুইটি শুন্য হয়।
Discussion about this post