এক নারী ব্যাংকারকে জোর করে বিয়ে এবং সম্পর্ক গোপন রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশের ডিআইজি মিজানুর রহমানকে ডিএমপি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
তিনি ডিএমপিতে অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া তিনটায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ‘পুলিশ সপ্তাহে’র ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ডিআইজি মিজানের নৈতিক স্খলনের কথা জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে তদন্তের পর জানতে পারবো আসলে তিনি কতটা দোষী। এখন প্রাথমিকভাবে অভিযোগের ভিত্তিতে ডিআইজি মিজানকে ডিএমপি থেকে পুলিশ সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।কত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ সপ্তাহ চলছে। দুই-একদিন পর আইজিপি-ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত কাজ শুরু করবে।কোনো ব্যক্তির দায় বাহিনী নিবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। অপরাধ করে কেউ পার পাবেন না। পুলিশের অনেক সদস্যও বিভিন্ন অপরাধে কারাগারে রয়েছে।ওই ব্যাংকার নারী একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া তার সাক্ষাৎকারে জানান, গত জুলাই মাসে তার বাসা থেকে তাকে কৌশলে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা মিজান। পরে বেইলি রোডের মিজানের বাসায় নিয়ে তিনদিন আটকে রাখা হয়েছিলো তাকে। আটকে রাখার পর বগুড়া থেকে তার মাকে ১৭ জুলাই ডেকে আনা হয় এবং ৫০ লাখ টাকা কাবিননামায় মিজানকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। পরে লালমাটিয়ার একটি ভাড়া বাড়িতে একসঙ্গে বসবাস করেছেন ডিআইজি মিজান।
নিজের ফেসবুকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একটি ছবি শেয়ারের পর ওই নারীর উপর ক্ষেপে যান মিজান। বাড়ি ভাঙচুরের একটি মামলায় তাকে গত ১২ ডিসেম্বর কারাগারে পাঠানো হয়। ওই মামলায় জামিন পাওয়ার পর মিথ্যা কাবিননামা তৈরির অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়। দুই মামলাতেই জামিনের পর ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তোলেন ওই নারী।
Discussion about this post