দেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর। সে হিসেবে বছরের শেষ দিনে অবসরে যাচ্ছেন ২২তম প্রধান বিচারপতি। ৩১ ডিসেম্বর শুক্রবার হওয়ায় ৩০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) শেষ কর্মদিবস তার।
২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করার পর প্রায় ৩ মাস প্রধান বিচারপতির পদটি শূন্য ছিল। এ সময় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে রুটিন দায়িত্ব পালন করছিলেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
পরে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ২২তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ওই দিনই পদত্যাগ করেন বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হতে যাচ্ছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনের পর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শপথ পড়াবেন।
সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে থাকেন। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগ করিবেন।
তবে দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের যে বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন, তার বিষয়ে সম্মতি দিয়ে প্রথমে আইন মন্ত্রণালয়কে জানাবেন।
বর্তমানে আপিল বিভাগে পাঁচ বিচারকের মধ্যে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে গেলে বাকি থাকবেন চার বিচারক। তারা হলেন- বিচারপতি ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ননী ও বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্র অনুযায়ী, আপিল বিভাগের বর্তমান বিচারপতিদের মধ্যে বিচারপতি মুহাম্মদ ঈমান আলী ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর, বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ২০২৩ সালের ৩০ জুন এবং বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২৬ সালের ১০ জানুয়ারি অবসরে যাবেন।
Discussion about this post