বিডিলনিউজঃ আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে যখন প্রধান দুই দল এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট সমাধানে আসতে পারেনি, ঠিক এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচনে সেনাবাহিনীর উপস্থিতির আবেদনের ব্যপারে মন্তব্য এলো ইসির পক্ষ থেকে।
নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ সোমবার কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আরপিও অনুসারে আইন-শৃঙ্খলায় যেসব বাহিনী থাকবে তাদের নিয়োজিত রাখা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এবারও মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সেনাবাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানাব।”
বিগত জাতীয় সরকার নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হলেও বর্তমান সরকারের সময় অনুষ্ঠিত কোন নির্বাচনে বা উপ-নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন করা হয়নি।
আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিরোধীতা করলেও প্রধান বিরোধীদল বিএনপি বরাবরই সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে সেনা মোতায়েনের দাবী জানিয়ে আসছে।
নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ সাংবাদিকদের আরো জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সংজ্ঞায় সশস্ত্রবাহিনী অন্তর্ভূক্ত না থাকায় এবার অন্যান্য বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সেনা মোতায়েনের অনুরোধ করবেন তারা।
তবে কখন সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে তফসিল ঘোষণার পরে, নাকি নির্বাচনী প্রচার শুরুর পর , তা ‘স্পষ্ট’ করেননি শাহনেওয়াজ।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘পরিস্থিতি বিবেচনায়’ এ অনুরোধ জানানো হবে।
বিগত ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনেও সশস্ত্রবাহিনীর প্রায় ৫০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
কমিশনের একজন কর্মকর্তা জানান, ২০০১ সালের আগে নির্বাচনে সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত কোনো বিধান আরপিওতে ছিল না। তারপরও ১৯৭৩ থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদেরও জেলা/থানা/উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়।
২০০১ সালের এক অধ্যাদেশে নির্বাচনে ‘ল’ এনফোর্সিং এজেন্সির’ সংজ্ঞায় ‘ডিফেন্স সার্ভিস’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০০৯ সালের ১৩ নম্বর আইনে তা বাদ দেওয়া হয়।
এ কারণে বর্তমান সরকারের সময়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এবং হবিগঞ্জ-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ উপ নির্বাচনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে সেনাবাহিনী চেয়েও পায়নি ইসি।
Discussion about this post