পবিত্র আল-কোরআনের ২৬ আয়াত নিয়ে ভারতে রিট, বাংলাদেশে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

ডেস্ক রিপোর্ট

ভারতে শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াসিম রিজভী পবিত্র কোরআন শরিফের ২৬টি আয়াতের ওপর আপত্তি তুলে পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে গত ১১ মার্চ দেশটির সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছেন। এই রিটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনের চত্বরে বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) আল কোরআন স্টাডি সেন্টার আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আইনজীবীরা বলেন, ‘পবিত্র কোরআন মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হওয়া সর্বশেষ ও শ্রেষ্ঠ আসমানি কিতাব। মানবজাতির মুক্তির একমাত্র সংবিধান।

কোরআন শরিফ আল্লাহ তায়ালার কালাম। তিনি নিজেই কিয়ামত অবধি এ কোরআন সংরক্ষণের দায়িত্ব নিয়েছেন। মুসলমানদের আকিদা বিশ্বাস, অবতীর্ণ হওয়া থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত কোরআন শরিফের একটি আয়াত এমনকি একটি অক্ষরও পরিবর্তন হয়নি এবং কিয়ামত পর্যন্ত কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না।

আইনজীবীরা বলেন, ‘ওয়াসিম রিজভী অতীতেও তার বক্তব্যে ইসলাম সম্পর্কে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। এখন সে প্রকাশ্যে কোরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের বক্তব্য সুস্পষ্ট— পবিত্র কোরআন নিয়ে শিয়াদের এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড কখনো বরদাশত করা হবে না।’

তারা বলেন, ‘অনতিবিলম্বে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই রিট খারিজ করতে হবে এবং বিশ্বের পৌনে ২০০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে এই রিট করার অপরাধে ওয়াসিম রিজভীকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কোরআনের আয়াত পরিবর্তনের এই রিট খারিজ না হলে ভারতের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্ব উত্তাল হয়ে উঠবে।’

অতীত ইতিহাস তুলে ধরে আইনজীবীরা জানান, এর আগেও ১৯৮৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টে দুজন হিন্দু ব্যক্তি কুরআনের কিছু কিছু আয়াতকে চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেছিলেন, এর প্রতিবাদে বাংলাদেশসহ পুরো ভারতে মুসলমানরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়।

ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে আল কোরআনের ২৬টি আয়াত বাতিলের দাবিতে রিট এবং তা গ্রহণ করার প্রতিবাদে বাংলাদেশের আল কোরআন স্টাডি সেন্টার সুপ্রিম কোর্টের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন বারের সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- আলহাজ গিয়াস উদ্দীন, জালাল উদ্দীন, তৈমুর আলম খন্দকার, আশরাফুজ্জমান, শাহ মো. বাদল, মনির হোসেন, রফিকুল হক তালুকদার রাজা, জাকারিয়া সরকার, মুজাহিদুল ইসলামসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী।