মোঃ ফয়জুল হাসানঃ
পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ- ১৯৮৫ এর ধারা ৪ অনুসারে পারিবারিক আদালত স্থাপিত। পারিবারিক আদালত বলতে বুঝায়, যে আদালতে যেকোনো পারিবারিক সমস্যা নিয়ে মামলা করা যায়। এই আদালতের উদ্দেশ্য হল অল্প খরচে ও অল্প সময়ে নারীদের অধিকার দ্রুত নিষ্পত্তি করা। জেলা জজকোর্টে প্রতিটি উপজেলার জন্য একটি করে পারিবারিক আদালত আছে। এই আদালতের প্রধান একজন সহকারী জজ। বর্তমানে পারিবারিক সমস্যা বিচার করার এখতিয়ার শুধুমাত্র পারিবারিক আদালতের কিন্তু আগে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতেও বিচার করা যেত। তবে বিচার শুরুর আগে পারিবারিক আদালতের গুরত্তপুরন একটি দায়িত্ব হল আপোস-মিমাংসার চেষ্টা করা। যদি আপোস-মিমাংসার চেষ্টা ব্যারথ হয় তবে আদালত তার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে। এই বিচার ওপেন কোর্টেও হতে পারে বা রুরধদার কক্ষেও হতে পারে। যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত লিখিত রায় ও ডিক্রি দিবে। আদালত ডিক্রির টাকা যেকোনো ভাবে পরিশোধের আদেশ দিতে পারেন (কিস্তির মাধ্যমেও)। আদালত ডিক্রির টাকা অনাদায়ে বিবাদীকে ৩ মাস বা টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত কারাদণ্ড দিতে পারেন। সংক্ষুব্ধ পক্ষ ইচ্ছা করলে আদালতের রায়, ডিক্রি, বা আদেশের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে জেলা জজের আদালতে আপীল করতে পারবেন। তবে মোহরনা ৫০০০ টাকার বেশী না হলে কোন আপীল করা যাবে না। কেউ যদি পারিবারিক আদালত অবমাননার দায়ে (ধারা ১৯) দোষী হয় তবে আদালত তার জরিমানা করতে পারেন যা ২০০ টাকার বেশী হবে না।
পারিবারিক আদালতের এখতিয়ারঃ
যেকোনো পারিবারিক মামলা, সমস্যা যে জেলায় উদ্ভব হয় সেই জেলার পারিবারিক আদালতে বা স্বামী-স্ত্রী সর্বশেষ যে জেলায় বসবাস করেছেন সেই জেলার আদালতে বা স্ত্রী যে জেলায় বসবাস করছেন সেই জেলার পারিবারিক আদালতে করা যাবে। মুসলিম পারিবারিক আইন ১৯৬১ অনুসারে নিম্নোক্ত বিষয়ের বিচার পারিবারিক আদালত করবেন-
- বিবাহ-বিচ্ছেদ,
- দাম্পত্য অধিকার পুনরুদ্ধার,
- শিশু সন্তানের অভিভাবকত্ব ও তত্ত্বাবধান,
- দেনমোহর,
- খোরপোষ।
লেখকঃ শিক্ষার্থী, চতুর্থ বর্ষ, আইন বিভাগ, স্টামফোরড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
hassan.foyzul@gmail.com
Discussion about this post