রাজধানীর বাতাস কী কারণে দূষিত হচ্ছে এবং দূষণ রোধে কী কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সে বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটির কার্যক্রমের প্রতিবেদন ও অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতিও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে আলাদাভাবে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মাদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর এ বিষয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে পরিবেশবাদী ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানির পর হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে কী কারণে রাজধানীর বাতাস দূষিত হচ্ছে এবং বায়ুদূষণ রোধে কী পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন সে জন্য একটি নীতিমালা তৈরি করতে পরিবেশ সচিবের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে রাজধানীর রাস্তা ও ফুটপাতে ধুলাবালি, ময়লা ও বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।
কমিটিতে দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী, ওয়াসা, ডেসকোসহ সকল পরিষেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের একজন করে প্রতিনিধি, প্রয়োজন হলে একজন বিশেষজ্ঞ রাখতে বলা হয়েছিল। এই কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর ও মানিকগঞ্জ জেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটা ১৫ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া ঢাকার সকল রাস্তা, ফুটপাত ও ফ্লাইওভারে জমে থাকা ময়লা, ধুলাবালি অপসারণের নির্দেশের পাশাপাশি দিনে কমপক্ষে দুইবার পানি ছিটাতে নির্দেশ দেয়া হয়। রাস্তার পাশে থাকা গাছ ও ভবনের দেয়ালেও পানি ছিটাতে বলা হয়েছিল।
ওই সময় রিট আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু।
Discussion about this post