আদালতের ধরন ভার্চুয়্যাল/রেগুলার
ফৌজদারী মামলা
১। মিসসিলেনিয়াস ও আপিল ফাইলিংঃ
এফিডেফিড বাতিল করে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীর সার্টিফিকেট গ্রহণীয় করতে হবে সেক্ষেত্রে সার্টিফাইড কপির পরিবর্তে সফট কপি গ্রহণযোগ্য করতে হবেঃ যেমন কোন থানায় মামলা হলে সংশ্লিষ্ট থানার ওয়েব সাইটে মামলাটি আপলোড করা থাকবে (যা ডাউনলোড যোগ্য), যাতে করে প্রিজাইডিং জাজ, আইনজীবী এবং বিচারপ্রার্থী এমনকি যে কেউ ঐ ওয়েব সাইটে ঢুকে মামলা দেখতে পারেন। এতে দুটি দৃশ্যমান লাভঃ একটি হলো সার্টিফাইড কপিতে যে জালিয়াতি হয় সেটি বন্ধ হবে এবং সার্টিফাইড কপি সংগ্রহে বিচার প্রার্থির খরচ, সময় ব্যয় বাচবে, রাষ্ট্রের এ খাতে খরচও কমবে। আবার নিম্ন আদালতে দায়েরকৃত সিআর বা পিটিশন মামলার নথি ও আাদেশের সার্টিফাইড কপির পরিবর্তে উপরোল্লিখিত ওয়েব সাইট ভিত্তিক করতে হবে।
২। আদালতে মামলা দাখিলঃ
সকল মামলা সুপ্রিম কোর্টের কেন্দ্রীয় ফাইলিং সার্ভারে ফাইল করার ব্যবস্থা থাকবে। একটি নির্দিষ্ট ফরমেটে মামলা ফাইল হবে এবং ততক্ষনাত মামলার নাম্বার পরবে, যেটা হবে ই ফাইলিং নাম্বার যেখানে আইনজীবী তার সাক্ষরে প্রতেকটি পাতা সত্যায়ন করে স্ক্যানিং করে ফাইল করবেন। উক্ত ই ফাইল সবার দৃষ্টিযোগ্য ও ডাউনলোড যোগ্য হতে হবে।
৩। মামলার শুনানীঃ
ফাইলিং ল’য়ার যে আদালতে মামলাটি শুনানী করতে চান তিনি পুর্বে উল্লেখিত ই ফাইল নাম্বারটি সংশ্লিষ্ট আদালতে অনলাইন সার্ভারে জমা প্রদান করার সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি সিরিয়াল নাম্বার পাবেন, যে সিরিয়াল নাম্বারটি তিনি অনুস্মরন করে মামলাটি শুনানির অপেক্ষায় থাকবেন। আদালতের সংশিষ্ট ব্যাক্তি প্রতিটি আইটেমের শুনানি শেষ হওয়ার সাথে সাথে পোষ্টিং দিবেন যাতে আইনজীবী বা বিচার প্রার্থীরা চলমান আইটেম সাথে সাথে দেখতে পারেন এবং তার মামলার শুনানির সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে অবগত হন।
৪। আদেশ কমিউনিকেশনঃ
যে আদালত আদেশ দিবেন সেই আদালত আদেশটি তার সার্ভারে আপলোড করবেন, যা সবার জন্য দৃষ্টিযোগ্য ও ডাউনলোড যোগ্য হবে এবং নিম্ন আদালত ইচ্ছা করলেই সংশ্লিষ্ট আদালতের সার্ভারে ঢুকে আদেশের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারবে। জামিনের ক্ষেত্রে একইভাবে জেল কতৃপক্ষও উক্ত আদেশ দেখে নিশ্চিত হয়ে আসামিকে মুক্তি দিবে।
(একজন নিয়মিত আইনজীবী হিসিবে একান্তই নিজস্ব ভাবনা)
চলবে…….
লিখেছেন: শামীম সরদার, আইনজীবী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও সাবেক কার্যকরী সদস্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন।
Discussion about this post