নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ ব্যাংকের লাইসেন্স না নিয়েই দেশে এতদিন পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে আলোচিত ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ১৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। লাইসেন্সহীন ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই পদ্ধতিতে সার্ভিস দেওয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
রবিবার এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়ার হাইকোর্ট বেঞ্চে এই বিষয়ে নির্দেশনা দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
রুলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মোট আটজনকে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।গত অক্টোবর জনস্বার্থে এই রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এনামুল হক।
দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি, আলেশা মার্ট, ই-অরেঞ্জ, আদিয়ান মার্ট, কিউ কম ও দালাল প্লাসসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানকে পেমেন্ট গেটওয়ের (এসক্রো) মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্থ পরিশোধের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়। কিন্তু ফস্টার পেমেন্টস গেটওয়ের বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়াই অর্থ লেনদেন করতে থাকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্ত করার জন্য চিঠি দেয়। এসক্রো পদ্ধতিতে ক্রেতারা কোনো ই-কমার্স কোম্পানিতে পণ্য অর্ডার করে মূল্য পরিশোধের পর তা পেমেন্ট গেটওয়ে সেবাদানকারী ফস্টারসহ বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয়। ই-কমার্স কোম্পানি ওই পণ্য ক্রেতাকে ডেলিভারি দেওয়ার পর তার ডকুমেন্ট দাখিল করার পর পেমেন্ট গেটওয়ে ক্রেতার পরিশোধ করা মূল্য ই-কমার্স কোম্পানির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে। এই পদ্ধতিতে ই-কমার্সে কেনাকাটার পর ফস্টার পেমেন্ট গেটওয়ের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হতে থাকে। এদের বিরুদ্ধে সময়মত অর্থ না পাওয়ার অভিযোগ করেছে ই-কমার্স কোম্পানিগুলো। দেশে এখন রেজিস্ট্রেশনভুক্ত পেমেন্ট গেটওয়ে সার্ভিস রয়েছে নয়টি।
Discussion about this post