বিনোদন ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু ও বলিউডে মাদক যোগের তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে অভিনেতা চর্চিত প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক ও সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিন স্যামুয়েলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ভারতের নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) একটি দল। সেখান থেকে শৌভিক ও স্যামুয়েলকে প্রথমে আটক করে এরপর গ্রেফতার দেখানো হয়।
আজ শনিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এনসিবির ওই দলটি রিয়ার বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ।
রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে সুশান্তের মৃত্যু তদন্তের মধ্যে মাদক যোগের বিষয়টি সামনে আসে। এই সংক্রান্ত তথ্য ইডির তরফ থেকে পাঠানো হয় সিবিআই ও এনসিবির কাছে। এরপর বলিউডে ও মুম্বাইয়ের অভিজাত মহলে মাদক যোগের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন এনসিবির গোয়েন্দারা। মাদক চক্র খুঁজতে গিয়ে তারা ইতোমধ্যে জায়িদ ভিলাত্রা ও আব্দুল বাসিত পারিহার নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া কাইজান নামে আরও একজনকে জিজ্ঞাসা করা হয়।
এনসিবি শুক্রবার মুম্বাইয়ের আদালতে দাবি করে, সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে তদন্তের মধ্যে যে মাদক যোগের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে, সে ব্যাপারে বাসিত পারিহারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কোর্টে এনসিবি বলেছে, পারিহার তাদের জানিয়েছে, শৌভিকের নির্দেশেই ভিলাত্রা ও কাইজানের থেকে মাদক কিনত সে। পারিহারের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, সমাজের উঁচুতলায় মাদক সরবরাহের যে সিন্ডিকেট, পারিহার তারই অংশ। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পারিহারকে এনসিবির হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালতে অভিনেত্রীর ভাইয়ের প্রসঙ্গ তোলার আগেই অবশ্য ভোর সাড়ে ছয়টা নাগাদ এনসিবির গোয়েন্দারা রিয়া ও শৌভিকদের সান্তা ক্রুজ ও আন্ধেরির বাড়িতে পৌঁছান। রিয়ার সঙ্গেই থাকেন শৌভিক। এনসিবির কর্মকর্তারা পরে জানান, ওই বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছেন তারা। জানা গেছে, শৌভিকের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
Discussion about this post